১৩৮৪২ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে তত্‍পরতা নবম- দশমের তালিকা পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

১৩৮৪২ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে তত্‍পরতা নবম- দশমের তালিকা পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

 রাজ্য স্কুলগুলিতে নয়া নিয়োগের তত্‍পরতা আরও বাড়াল রাজ্য। নয়া নিয়োগে প্রাথমিকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে নবম- দশমের শিক্ষক নিয়োগকেই। এমনটাই খবর স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে। তার জন্যই নবম- দশমের মোট শূন্য পদের তালিকা তৈরি করার জন্য 'অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ সম্প্রদায়' দফতরকে পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

কার্যত নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোলো রাজ্য। পর্ষদ সূত্রে খবর ১৩৮৪২ টি শূন্য পদ পাঠানো হয়েছে রোস্টার তৈরির জন্য।

রোস্টার তৈরি অর্থাত্‍ কতগুলি শূন্যপদ sc, কতগুলি শূন্যপদ st বা ওবিসি(a), ওবিসি ( বি) এদের জন্য সংরক্ষিত হবে তার তালিকা তৈরির জন্যই পাঠানো হয়েছে। আধিকারিকদের মতে এই কাজটাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ এর ওপরেই নির্ভর করবে নিয়োগের ভবিষ্যত্‍। তবে পুজোর আগেই যাতে এই রোস্টার পাওয়া যায় তার জন্য অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ সম্প্রদায়ের দফতরকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই এই রোস্টার তৈরির জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজও শুরু করেছে দফতর।

প্রাথমিকভাবে এই নবম দশম এর রোস্টার তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে একাদশ দ্বাদশ-স্তরের নয়া শিক্ষক নিয়োগের জন্য রোস্টার তৈরি করতে শূন্য পদের তালিকা পাঠানো হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বলেই জানা গিয়েছে। একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৫৫২৭ টি শূন্যপদ চূড়ান্ত হয়েছে।

পাশাপাশি স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২৩২৫ টি শূন্য পদ চূড়ান্ত হয়েছে। তবে একাদশ - দ্বাদশ শ্রেণীর শূন্য পদের তালিকা পাঠানোর পরপরই প্রধান শিক্ষকের তালিকাও পাঠানো হবে রোস্টার তৈরির জন্য। সেক্ষেত্রে নয়া নিয়োগের বিজ্ঞাপন পুজোর আগে কার্যত দেওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে স্কুল শিক্ষা দফতরের একাংশ। তবে রোস্টার চলে এলে পুজোর পরেই জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ শুরু করা সম্ভব বলেই দাবি করছেন এসএসসির আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জানিয়েছেন যে রাজ্যে ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানমন্ত্র থেকে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হবে। তবে সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে যাতে কোনরকম গাফিলতি না হয় তার জন্য এবার বিশেষভাবে সতর্ক স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার জন্যই নয়া নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেবার আগে বিভিন্ন আইনি দিক ও খতিয়ে দেখতে চাইছেন আধিকারিকরা।