বেসরকারি বি.এড কলেজে পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা! মানিকের দূর্নীতি জেনেও চুপ পার্থ, দাবি ইডির চার্জশিটে

বেসরকারি বি.এড কলেজে পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা! মানিকের দূর্নীতি জেনেও চুপ পার্থ, দাবি ইডির চার্জশিটে

মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে একের পর অভিযোগ জানার পরেও চুপ করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ইডির চার্জশিটে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোভিড কালে, যখন বি.এড কলেজগুলি বন্ধ ছিল, তখন রাজ্যের প্রায় ৫০০ বেসরকারি বি.এড কলেজ থেকে পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।

শুধু তাই নয়, নদিয়ায় টেটের ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর, সেখানে খালি মার্কশিট জমা দিতে বলেছিলেন তিনি। এসবই নাকি হোয়্যাটস অ্যাপ মেসেজ মারফত এসে পৌঁছেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু, তিনি সেই মেসেজের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেননি। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সামনে তিনি জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পাওয়ার পর সেই মেসেজই ফরোয়ার্ড করে দিয়েছিলেন মানিককে, কারণ তিনি ব্যবস্থা নিতে বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকেই মেসেজ পাঠিয়ে পার্থ কী ব্যবস্থা নিতে বললেন, তা স্পষ্ট করতে পারেননি প্রাক্তন মন্ত্রী।

গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিশেষ সিবিআই আদালতে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

গত ২৩ জুলাই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। নিয়ম মতো গ্রেফতারির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে হয়। ফলে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইডি পার্থ এবং অর্পিতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল।