ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই পানীয়ে এক চুমুক সব অশান্তির অবসান নিমেষে

ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই পানীয়ে এক চুমুক সব অশান্তির অবসান নিমেষে

ই ভালো তো এই অশান্তি। ৫ বছরের প্রেমপর্ব মিটিয়ে বিয়ের ২ বছর কেটে গিয়েছে। দিনের পর দিন একে অপরের যত না ঘনিষ্ট হতে পেরেছে তার চেয়েও অনেক বেশি কলহ বেড়েছে। ছোট খাটো নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। এর মূল কারণ হল কর্মব্যস্ততা। ইদানিং কালে সকলেই অনেক বেশি ব্যস্ত। নিজের জন্যই সময় নেই তো সঙ্গী দূরের কথা।

আর এই ব্যস্ততার কারণেই শরীরে দেখা দিচ্ছে একাধিক সমস্যা। ঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুম কোনওটাই হচ্ছে না। রাত জেগে কাজ করার অভ্যাসের ফলে সকালে ঘুম ভাঙতে দেরি হচ্ছে। ফলে শরীরে জাঁকিয়ে বসছে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো একাধিক রোগব্যাধি। এর ফলে চড়চড়িয়ে বাড়ছে প্রেসার, কোলেস্টেরল। সেই সঙ্গে ছেলেদের মধ্যেও আসছে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা। মেয়েদের থেকেও ছেলেরা বেশি এই সমস্যার শিকার।

যৌনক্ষমতা কমে যাওয়া, যোন ইচ্ছে কমে যাওয়া এসব নানা কারণেই জোরদার হচ্ছে দাম্পত্য কলহ। মতের অমিল, চাওয়া-পাওয়া মোটকথায় মানসিক বিভেদ এখন অনেক বেশি। কথায় কথায় ঝগড়া, ধৈর্যচ্যুতি এসব তো লেগেই রয়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন জীবনযাত্রায়। রোজকার লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতেই হবে। পাশাপাশি নিয়ম করে চুমুক দিন এই পানীয়তে।

অনেকেই আছেন যাঁদের সকালে এককাপ কাপ কফি ছাড়া কোনও মতেই ঘুম ভাঙে না। সারাদিনে দু-এককাপ কফি চলতেই থাকে। পুরুষদের যৌনক্ষমতা বাড়াতেও ভীষণ ভাবে কাজ করে এই কফি। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন রক্তনালীকে প্রসারিত হতে সাহায্য করে। তাই দিনে ৩ কাপ পর্যন্ত কফি চলতে পারে। তবে দুধ-চিনি ছাড়া খাবেন।

ছেলেদের শরীরে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের। যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ হয় এই হরমোনের মাধ্যমেই। কফি খেলে এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। বাড়ে ক্ষমতাও। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি। খুব কড়া তেতো কফি বেশি না খাওয়াই ভাল।

হার্ট ঠিক রাখতে দুর্দান্ত কাজ করে কফি। দিনের শুরুতে তাই চিনি ছাড়া এক কাপ কালো কফি খেতেই পারেন। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডোন্ট আমাদের শরীরের জন্য ভাল। তা রক্তনালীকে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যার্টাক রোধ করা যায়। তাই সুস্থ থাকতে কফি খান।

এক কাপ কফি হাতে থাকলে যে কোনও কাজ অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। মন খুলে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনাও করা যায়। বিছানায় যাওয়ার আগে ২ জনে এককাপ কফি নিয়ে বসুন। মন খুলে কথা বলুন। দেখবেন অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে সহজেই।