বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এদিন সিএইচপিতে প্রায় ৪০০ জন দর্শনার্থীদের প্রসাদ খাওয়ানো হল।

বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এদিন সিএইচপিতে প্রায় ৪০০ জন দর্শনার্থীদের প্রসাদ খাওয়ানো হল।

বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দুর্গাপুজোর ঘণ্টা বেজে গেল। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনা যেন এই বঙ্গভূমিতে নিয়ে আসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্‍সব দুর্গাপুজোর আগমন বার্তা। আজ শনিবার সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মা হলেন স্বর্গলোকের অন্যতম সেরা স্থপতি এবং ভাস্কর।

তাই যাঁরা নির্মাণ বা কারিগরি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সাড়ম্বরে ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকেন। গত দুবছর করোনা অতিমারীর জন্য সমস্ত পুজোয় ভাঁটা পড়েছিল। কিন্তু এবারে করোনাপর্ব কাটিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে বীরভূমের শিল্পনগরী বক্রেশ্বর। আজ বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্রে সাজো সাজো রব।

প্রতিটি বিভাগ এবার ধুমধাম করে পুজো করছে। সিভিল, মেকানিক্যাল, অফিসার্স ক্লাব, সিএইচপি বিভাগ সহ সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে ১৭টি বিশ্বকর্মা পুজো হচ্ছে এবার। প্রতিটি বিভাগের পুজো মণ্ডপ এবার দেখার মতো। আর এই পুজো দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় উপচে পড়ে।

এবার বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্র বিশেষ সম্মান লাভ করেছে। তাই এবার বিশ্বকর্মা পুজোতে রয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এদিন সিএইচপিতে প্রায় ৪০০ জন দর্শনার্থীদের প্রসাদ খাওয়ানো হল। তাছাড়াও শিল্পনগরী বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের বিশ্বকর্মা পুজোর সমস্ত মণ্ডপ ঘুরে দেখলেন তাপবিদ্যুত্‍ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। তিনি জানান, এখানকার মতো এত উন্মাদনা আগে কখনও দেখিনি। এখানে বিশ্বকর্মা পুজো উত্‍সবের আমেজ নিয়েছে। পুজোর অনুভূতি এক কথায় দারুণ।