আইসিসের পর এবার কি তালিবানের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিচ্ছে নতুন শক্তি?

আইসিসের পর এবার কি তালিবানের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিচ্ছে নতুন শক্তি?

কাবুল: আফগানিস্তান পুনর্দখলের বর্ষপূর্তি উদযাপন করার দু’দিন পরে বুধবার সেদেশের রাজধানী কাবুলের কোটেল খৈরখানা মাদ্রাসাতে সন্ধের প্রার্থনা চলার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪০ জনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল। তালিবান সরকারের এক গোয়েন্দা আধিকারিক ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছিলেন, ওই মসজিদের ইমাম যে জায়গা থেকে প্রার্থনা পরিচালনা করেন, সেখানে বিস্ফোরক রাখা ছিল।

তিনি বলেন, “যখন ভয়াবহ বিস্ফোরণটি হয় তখন তালিবানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মৌলভি আমির কাবলি নামাজের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গিয়েছিলেন।” ধর্মগুরুদের নিশানা করে গত ১৫ দিনে কাবুলে তিনটি বিস্ফোরণ হল।

আক্রমণের পিছনে কারা?

তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে একের পর এক বিস্ফোরণের পিছনে কারা রয়েছে, এই নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। একজন প্রত্যক্ষদর্শী ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, যেহেতুই মাদ্রাসাটি এক তালিবান ধর্মগুরু দ্বারা পরিচালিত হত সেই কারণে এই বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের মধ্য কয়েকজন তালিবান মুজাহিদিন সদস্যও রয়েছেন। গত অগস্টে আমিরুল্লাহ সালহে ও আহমেদ মাসুদের প্রতিরোধ ভেঙে চুরমার করে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তালিবান। প্রতিরোধ বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্য হয় মারা গিয়েছেন অথবা তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণের পর তালিবানে যোগদান করেছেন।

আফগানিস্তানের বেশিরভাগ বিস্ফোরণের ঘটনায় আইসিস জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু নতুন করে আরও এক সমস্যা তালিবানের সামনে উদ্ভূত হয়েছে। এবার এক বছর পর তাজিকিস্তান সীমান্ত এলাকায় তালিব যোদ্ধা ও আহমেদ মাসুদের অনুগামীদের মধ্যে লড়াইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। তালিবানের তরফে এই লড়াইয়ের কথা অস্বীকার করা হলেও পঞ্জশিরের এক তালিবান সমর্থন জানিয়েছেন, সেই অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় এখন তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। তালিবানের হাজারও চেষ্টা সত্ত্বেও এই এলাকায় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রতিরোধ আরও বাড়তে থাকলে আগামী দিনে তালিব যোদ্ধাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।