হাজার টাকার খাবার খেয়ে মহিলা ওয়েটারকে আড়াই লক্ষ টাকা বকশিস তার পর

হাজার টাকার খাবার খেয়ে মহিলা ওয়েটারকে আড়াই লক্ষ টাকা বকশিস তার পর

রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে অনেকেই টিপস হিসাবে টাকা দেন রেস্তোরাঁর কর্মীদের। তবে তা রেস্তোরাঁর বিলকে কখনই ছাপিয়ে যায় না। কিন্তু সম্প্রতি একটি ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার পেন্সিলভেনিয়ায়। সেখানে এক ব্যক্তি খাবার খেতে এসেছিলেন আলফ্রেডো পিত্‍জা ক্যাফে নামের এক রেস্তোরাঁয়।

সেখানে তিনি খাবার খেয়েছিলেন ১৩.২৫ ডলারের। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৬২ টাকা। মহিলা ওয়েটারের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে বকশিস হিসাবে দিয়েছিলেন তিন হাজার ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ বকশিস পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চমকে যান ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই টাকা দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষও সেই টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের কর্মীকে। কিন্তু এর পর যা ঘটেছে, তার জন্যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় জিতেওছেন তাঁরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আলফ্রেডো পিত্‍জা ক্যাফেতে জুন মাসে খেতে এসেছিলেন এরিক স্মিথ নামের এক ব্যক্তি। ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করেন মারিয়ানা ল্যাম্বার্ট নামের এক মহিলা। সেখানে খাওয়া দাওয়ার পর এরিক ল্যাম্বার্টকে তিন হাজার ডলারের বকশিস দিয়েছিলেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই বকশিস পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন ল্যাম্বার্ট। সেই ঘটনার কথা স্যোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নেটিজনরাও ঘটনার প্রশংসা করেছিলেন।

এই ঘটনার কয়েক দিন পর ওই ক্রেডিট কার্ড কর্তৃপক্ষ রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা ফেরতের আর্জি জানায়। তাঁরা জানায়, তাঁদের গ্রাহক ভুল করে ওই পরিমাণ টাকা টিপসের জন্য দিয়ে ফেলেছেন। তিনি এখন টাকা ফেরত চাইছেন। কিন্তু ততদিনে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ওই টাকা দিয়ে ফেলেছেন ওয়েটারকে। তাই তাঁদর পক্ষে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব ছিল না। তখন তাঁরা এরিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁরা।

এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন এই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জয়ী হয়েছেন। ফলে তাঁদের আর টাকা ফেরত দিতে হবে না।