রানির মৃত্যুর পর ব্রিটিশ রাজদণ্ডের 'সবচেয়ে বড় হিরে' ফেরত চাইল দক্ষিণ আফ্রিকা

রানির মৃত্যুর পর ব্রিটিশ রাজদণ্ডের 'সবচেয়ে বড় হিরে' ফেরত চাইল দক্ষিণ আফ্রিকা

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার পর থেকেই ব্রিটেনের রাজদণ্ডে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে 'বড় স্বচ্ছ হিরে' ফেরত চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

দিন দিন এ দাবি বাড়ছে। হিরেটি ফেরত এনে দক্ষিণ আফ্রিকার জাদুঘরে রাখার দাবি করেছেন দেশটির জনগণ।

এ দাবিতে একটি আবেদনে এরই মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ সই করেছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ বিশ্বাস করেন ওই হিরের প্রকৃত মালিক তাঁরাই।

হিরেটি 'দ্য গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা' বা 'কুলিনান' হিরে নামে পরিচিত। ১৯০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিমিয়ার খনিতে পাওয়া যায় এটি। খনির তত্‍কালীন চেয়ারম্যান থমাস কুলিনানের নামানুসারে হিরের নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে হিরেটি 'দ্য গ্রেট স্টার অব আফ্রিকা' নামেও পরিচিতি পায়। বর্তমান বাজারমূল্যে হিরের তখন দাম ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। রাজা এডওয়ার্ড সপ্তমকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে হিরেটি ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ব্রিটিশ কলোনির অংশ ছিল।

৩ হাজার ১০৬ ক্যারেট ওজনের হিরের দৈর্ঘ্য ছিল ১০.১ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৬.৩৫ সেন্টিমিটার। পরে ওই হীরক খণ্ডটিকে ৯টি টুকরো করা হয়। সবচেয়ে বড় টুকরোটির ওজন ৫৩০ ক্যারেট, যা এখন শোভা পাচ্ছে রাজদণ্ডে।

এদিকে, রানির মৃত্যুর পর থেকে রাজপরিবারের মালিকাধীন রত্ন পাথর, যেগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার খনি থেকে পাওয়া; সেগুলো নিয়ে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিতর্ক চলছে।

আফ্রিকান ট্রান্সফরমেশন মুভমেন্ট (এটিএম) এমপি ভুয়ো জুঙ্গুলা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কমনওয়েলথ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। ব্রিটেনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ব্রিটিশরা আমাদের যত হিরে, রত্ন পাথর, সোনা চুরি করেছে সেগুলো ফেরত চাই। সেইসঙ্গে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে বলেন, 'মেগনা কার্টা' নয় নতুন সংবিধান হবে জনগণের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে।

উল্লেখ্য, রাজদণ্ড হল রাজকীয় চিহ্ন হিসেবে শাসক রাজার হাতে থাকা একটি দণ্ড। রূপকভাবে, এর অর্থ রাজকীয় বা সার্বভৌমত্ব।