ডিভোর্সের পর বাড়ির নেমপ্লেট থেকে 'খান' মুছলেন সীমা,রেগে আগুন ছেলে- 'আমরা খানই'

ডিভোর্সের পর বাড়ির নেমপ্লেট থেকে 'খান' মুছলেন সীমা,রেগে আগুন ছেলে- 'আমরা খানই'

৪ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে মাস কয়েক আগেই ইতি টেনেছেন সোহেল খান ও সীমা সাজদেহ। সম্পর্ক বছর কয়েক ধরেই টালমাটাল ছিল। এক ছাদের তলায় থাকতেন না সোহেল-সীমা। গত মে মাসে কাগজে-কলমেও সোহেলের থেকে বিচ্ছেদের আবেদন করেন সীমা। 'ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস'-এর নতুন সিজনে ডিভোর্স নিয়ে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন সীমা।

সোহেলের প্রাক্তন স্ত্রী এক আলাপচারিতায় সম্প্রতি ফাঁস করলেন ডিভোর্সের আবেদনের পর নিজের জীবনে বড়সড় পরিবর্তন এনেছেন তিনি। শুধু নিজের নামের পাশ থেকেই খান পদবি সরাননি, বাড়ির নামের ফলক থেকেও খান মুছে ফেলেছেন। এখন তাঁর বাড়ির নেমপ্লেটে লেখা- 'সীমা,নির্বাণ, ইয়োহান'। আর এতেই মায়ের উপর চটে লাল বড় ছেলে নির্বাণ।

সোহেল ও সীমার দুই পুত্র নির্বাণ ও ইয়োহান। মায়ের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে নির্বাণ জানিয়েছেন, 'আমরা চারজনের পরিবার, সকলেই খান। কিন্তু শুধু পদবিটা সরিয়ে, আমাদের তিনজনের নাম রেখে, পরোক্ষ ভাবে একজনের নামটাই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এটার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এতে কী বদলালো? দিনের শেষে তুমি সেই খানই থাকবে। আমরা সবাই খান।'

কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন সে কথাও জানান সীমা। ছেলে মা-কে একটি সাজেশন দিয়েছিল। নির্বাণের ইচ্ছে ছিল খান ও সাজদেহ দুটো পদবিই রাখা হোক নেমপ্লেটে। যদিও সীমা স্পষ্ট করেন কোনও পদবিই রাখবেন না তিনি। ছেলেকে তিনি বুঝিয়েছেন, এটার মানে এই নয় যে তাঁরা একটা পরিবার নয়। তবে আপতত জীবনের এমন এক পর্যায়ে তিনি রয়েছেন যেখানে এই সিদ্ধান্তটা বাধ্যতামূলক। সীমা ছেলেকে বলেন, 'তোমার এবং ইয়োহানের পদবি সবসময় খানই থাকবে, কিন্তু আমরাটা আর খান থাকবে না- এই ব্যাপারটা আমি নিজেই উপলব্ধি করবার চেষ্টা করছি, তাই আমি চাই না কোনও পদবি নেমপ্লেটে থাকুক'।

১৯৯৮ সালে প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া-র সেটে প্রথম আলাপ হয় সীমা আর সোহেলের। এরপর প্রেম আর পালিয়ে বিয়ে। ২০১৭ সালে প্রথম তাঁদের ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। এরপর নেটফ্লিক্সের শো 'দ্য ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস'-এ স্পষ্ট হয়েছিল এক ছাদের তলায় থাকেন না তাঁরা।

সীমা সম্প্রতি ডিভোর্স প্রসঙ্গে বলেন, 'ব্যাপারটা হল আমার মধ্যে একটা ক্ষত তৈরি হয়েছিল, যা ক্রমাগত আরও গভীর হচ্ছিল। তাই আমি উলটো পথেই হাঁটা বেছে নিলাম। এটাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমার পরিবার, দুই সন্তান, ভাই-বোনের জন্য অন্তত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল।..আমার মধ্যে থাকা সমস্ত নেগেটিভিটি ঝেড়ে ফেলেছি। এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছি যখন আমার কিছু যায় আসে না কে কী ভাবল।'