'রঘু দা'কে সঙ্গে নিয়ে আসছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রকাশ্যে 'বল্লভপুরের রূপকথা'র টিজার

'রঘু দা'কে সঙ্গে নিয়ে আসছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রকাশ্যে 'বল্লভপুরের রূপকথা'র টিজার

যেমন কথা ছিল, তেমনটাই ১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যেল 'বল্লভপুরের রূপকথা'র (Ballabhpurer Roopkotha) টিজার (Teaser Out)। প্রথম দিনেই নজর কাড়ল দর্শকের। ভৌতিক ব্যঙ্গাত্মক (Satire) ঘরানার এই ছবির পরিচালনায় স্বয়ং অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)।

প্রকাশ্যে 'বল্লভপুরের রূপকথা'র প্রথম ঝলক

১৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে এল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নতুন কাজ 'বল্লভপুরের রূপকথা'র টিজার। 'মন্দার' ওয়েব সিরিজের পর এবার সিনেমা তৈরিতে অনির্বাণ।

'ভৌতিক ব্যঙ্গাত্মক' দুনিয়ার স্বাদ পেতে হলে এই টিজার অবশ্যই দেখতে হবে। এটিই অনির্বাণের ছবি পরিচালনায় অভিষেক। এসভিএফের প্রযোজনায় মুক্তি পাবে ২০২২ সালের কালী পুজোয়। ছবিতে অবশ্যই রয়েছে গা ছমছমে একটা ব্যাপার। ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানার ঘনঘটার মাঝেই কোথাও গিয়ে একটা ব্যাঙ্গের ছোঁয়াও মিলবে। টিজারে ভূতুড়ে বাড়ি, অন্ধকার, নিস্তব্ধতা, গা ছমছমে ব্যাপার রয়েছে। বারবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আভাসও রয়েছে। তবে বারবার একটা নামই উঠে এল, 'রঘু দা'।

'বল্লভপুরের রূপকথা' লিখেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য নিজেই, সঙ্গী তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রতীক দত্ত। সিনেম্যাটোগ্রাফি করবেন সৌমিক হালদার। ছবিটি বাদল সরকারের অত্যন্ত জনপ্রিয় 'বল্লভপুরের রূপকথা' নাটকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে।

ছবি সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত পরিচালক অনির্বাণ। তিনি বলেন, 'ছোটবেলা থেকেই আমি হরর কমেডি ভীষণ পছন্দ করি। বাংলা সিনেমায় ভূতের ছবি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা হলেও স্যাটায়ার নিয়ে বিশেষ হয়নি। "বল্লভপুরের রূপকথা" সবদিক থেকে দর্শকদের অবাক করে দেবে। এসভিএফের সঙ্গে পরিচালক হিসেবে আমার প্রথম ফিচার ছবি তৈরি করতে পেরে খুবই আশাবাদী আমি।'

বিশ্বকর্মা পুজোয় কী করছে টিম 'হামি টু'?

প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, 'বল্লভপুরের রূপকথা' হরর কমেডি। অর্থাত্‍, মজার মোড়তে ভৌতিক গল্প শোনানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। ছবির মুখ্য চরিত্রে কে থাকছেন? পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ে দেখা মিলবে অনির্বাণের? এখনও সঠিক উত্তর অজানা। তবে টিজারে শোনা গেছে অনির্বাণের কণ্ঠ। জানা গিয়েছে, 'বল্লভপুরের রূপকথা'য় উঠে আসবে বল্লভপুর রাজবাড়ির শেষ বংশধরের অবাক করা এক গল্প। জরাজীর্ণ রাজবাড়ির বাসিন্দা মাত্র ২ জন। তাদের আর্থিক পরিস্থিতি রাজবাড়ির মতোই জরাজীর্ণ। গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে দুজন। ঋণ মেটানোর মত সম্পত্তিও অবশিষ্ট নেই। তাহলে কী করে চলে এই দুই বাসিন্দার জীবন? গল্পের মোচড় নাকি সেখানেই লুকিয়ে।