ফেডারাল রিজ়ার্ভ সুদের হার বাড়ানোয় টাকার দামে ধস রেকর্ড গড়ে ডলার ছুঁল ৮০.৭৯

ফেডারাল রিজ়ার্ভ সুদের হার বাড়ানোয় টাকার দামে ধস রেকর্ড গড়ে ডলার ছুঁল ৮০.৭৯

শঙ্কাই সত্যি হল। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোয় বৃহস্পতিবার ধসের মুখে পড়ল টাকা। ৮৩ পয়সা বেড়ে এই প্রথম ডলার পৌঁছল ৮০.৭৯ টাকায়। এক সময় তা ৯৯ পয়সা উঠে ৮০.৯৫ টাকা ছুঁয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ধাক্কা খেয়েছে লগ্নিকারীদের আস্থা।

এত চড়া সুদ যে আমেরিকাকে মন্দায় ঠেলে দিতে পারে, সেই ইঙ্গিত ফেড রিজ়ার্ভই দিয়েছে। তবুও তাদের বার্তা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সুদ আরও বাড়তে পারে। ফলে ঝুঁকি না নিয়ে সুরক্ষিত লগ্নির মাধ্যম হিসেবে ডলারকে আঁকড়ে ধরছেন বহু লগ্নিকারী।

আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলেন, ''ফেড রেট বৃদ্ধির পরে ভারতে ২৫০৯.৫৫ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার বেচেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। ফলে ডলারের বিপুল চাহিদাই টাকাকে নামিয়েছে। তবে এই অস্থিরতা স্বল্পমেয়াদি হতে পারে। বরং উন্নত দেশ মন্দায় পড়লে বিদেশি লগ্নির হাত ধরে শেয়ার সূচকের চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা। টাকার পতনও সাময়িক।'' এ দিন সূচক নেমেছে মাত্র ৩৩৭ পয়েন্ট। বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলছেন, ডলারে লগ্নি সরে যাওয়ার ধাক্কা এ দেশের শেয়ার বাজারে পড়ছে কি না বোঝা যাবে ভবিষ্যতে বিদেশি লগ্নির বহর দেখে।

অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের দাবি, ''ডলারের দাম বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়বে তেল আমদানিতে। তার খরচ বাড়বে।'' এখন অশোধিত তেল ৯০ ডলারের আশেপাশে। অভিরূপবাবু বলেন, ''অশোধিত তেল সস্তা হওয়ায় দেশে জ্বালানির দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ডলারের দাম দেখিয়ে হয়তো সেই পথে আর হাঁটা হবে না। তবে ভারতের রফতানিকারীরা লাভবান হবেন।'' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান সৈকত সিংহ রায়ের মতে, আমদানির খরচ বাড়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির আশঙ্কা। কাঁচামাল এবং যন্ত্রপাতি আমদানির খরচ বাড়ায় দেশে আরও বাড়তে পারে জিনিসের দাম।