শোয়েবকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ বাবরের সানিয়ার স্বামীর বিস্ফোরক অভিযোগ

শোয়েবকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ বাবরের সানিয়ার স্বামীর বিস্ফোরক অভিযোগ

অভিমানী শোয়েব মালিক (Shoaib Malik)। বারবার দলে জায়গা না পাওয়ায় পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটারের ব্যথা ছলকে উঠেছে। এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপ দলেও জায়গা হয়নি শোয়েবের। এই অবস্থায় অধিনায়ক বাবর আজমের(Babar Azam) সঙ্গে তাঁর কী কী কথোপকথন হয়েছিল তা প্রকাশ্যে এনেছেন শোয়েব।

পাক ক্রিকেটের (Pakistan Cricket) অন্দরে যে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না, তা শোয়েবের অভিযোগে স্পষ্ট। পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের পাক ক্রিকেটে যথেষ্ট অবদান রয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে জায়গা হচ্ছে না তাঁর। শোয়েব বলেছেন, “আমি বাবরকে জিজ্ঞেস করেছি, দলে কি আমার কোনও প্রয়োজন রয়েছে? যদি না থাকে তাহলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হোক।”

মিডল অর্ডারে পাকিস্তানের পিলার শোয়েব মালিক। সেই মালিক এশিয়া কাপে রাখা হয়নি। ফল ভুগেছে গ্রিন আর্মিরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালে হারের পর পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের দুর্বলতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের অংশ ছিলেন শোয়েব। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তারপর থেকে আর শোয়েবকে সবুজ জার্সিতে দেখা যায়নি। বছরখানেকের মধ্যে সব বদলে গিয়েছে। তরুণদের আধিক্যে ৪০ বছরের ‘বুড়ো’ শোয়েবের ঠাঁই হয়নি অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপে। এতে সমর্থকরাও ভীষণ ক্ষুব্ধ।

সম্প্রতি শোয়েবের একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে শোয়েব বলেছেন, বাবর ও তাঁর মাঝে একটি অলিখিত চুক্তি হয়েছিল। যেখানে বাবর কথা দিয়েছিলেন যে শোয়েব মালিককে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলিতে খেলানো হবে। শেষমেশ কথা রাখতে পারেননি বাবর। শোয়েব বলেছেন, “আমি বাবরের সঙ্গে কথা বলেছি। টি-২০ বিশ্বকাপের সময় ও আমায় জিজ্ঞেস করেছিল, অবসর নিতে চাই কি না। দেখুন এইসব বিষয়ে একটা স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। সবাই জানে আমি কি চাই। এত বছর ধরে খেলেছি। আমি অনেক কিছু ডিজার্ভ করি। বোর্ড কী চায় এবং খেলোয়াড়দের মনোভাব স্পষ্ট হওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বলেছিলাম, তুমি যদি আমাকে নির্দিষ্ট ম্যাচ বা সিরিজে খেলাতে চাও তাহলে জানিয়ে দিও। ও বলেছিল, জানিয়ে দেবে কোন সিরিজে আমাকে খেলতে হবে। বিশ্বকাপ (২০২১) চলাকালীন এই কথোপকথন হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের আগে বলা হল, কয়েকজন নতুন ছেলেকে দেখে নিতে চায়। তাই আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র টি-২০ ম্যাচের আমাকে নেওয়া হয়নি। তখন বাবরকে আমি বলেছিলাম, যদি তোমার মনে হয় আমার প্রয়োজন নেই তাহলে বলতে পারো। নতুন ক্রিকেটাররা উঠে আসছে। এটা আমি বুঝি। খুশি মনে সরে দাঁড়াতাম।”

পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা যথাযোগ্য সম্মান পায় না বলেও অভিযোগ করেন শোয়েব মালিক। বলেন, “দেশের বেশ কিছু কিংবদন্তি ক্রিকেটার সাম্প্রতিক অতীতে অবসর নিয়েছেন। তাঁরা যথেষ্ট সম্মান পাননি। মহম্মদ হাফিজের অবসরের পর পাকিস্তান সুপার লিগে তাঁকে একটি ট্রফি দিয়েও সম্মান জানানো হয়নি।”