নামের মত গুণও রয়েছে অর্জুন গাছের ছালে, এই ৪ রোগের অর্বথ্য টোটকা

প্রাচীন কালে এত বেশি অ্যান্টিবায়োটিকের (Antibiotic) চল ছিল না। কথায় কথায় মানুষের ওষুধ খাওয়ার কোনও সুযোগও ছিল না। সামান্য অ্যালার্জি (Allergies), হজমের সমস্যা কিংবা কাটা-ছেঁড়া নিয়ে মানুষ এত ব্যাতিব্যস্তও হতেন না। ভরসা রাখতেন প্রাকৃতিক উপায়ে। নিজের থেকেই তা সেরে যেত। প্রতিটি মানুষের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতাও ছিল জোরদার।
অর্জুন গাছের (Health Benefits Of Arjuna Bark) কথা উল্লেখ রয়েছে প্রাচীন পুরাণেও। এই গাছ আয়ুর্বেদে ধন্বন্তরী। একাধিক আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতে এই গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়। অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে প্রচুর গুণ। যে কোনও রকম ইনফেকশন প্রতিরোধে ভীষণ কার্যকরী এই গাছের ছাল। রূপকথার বেশ কিছু গল্পেও উল্লেখ রয়েছে অর্জুন গাছের ছালের। যে কোনও ক্ষত, ঘা নিরাময় করতে ভাল কাজে আসে এই গাছের ছালবাটা। এছাড়াও আরও যে ভাবে কাজে লাগানো যায় এই গাছের ছালকে তা হল-
হার্ট ভাল রাখে- অর্জুন গাছের ছাল বেটে জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে হার্ট ভাল থাকে। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল দূর করতেও সাহায্য করে এই পানীয়। ফলে শরীর ভাল থাকে।
ক্যানসার প্রতিরোধে- ক্যানসার প্রতিরোধেও ব্যবহার করা হয় এই অর্জুন গাছের ছাল। এই ছালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্ষতিকর টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে মুক্তি দেয়। যে কারণে ক্যানসারের আশঙ্কা কমে।
ডায়াবেটিসের চিকিত্সায়-আজকাল ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস আক্রান্তের খোঁজ মেলে। ছোট থেকে বড় সকলেই আক্রান্ত ডায়াবেটিসে। ডায়াবেটিসের সমস্যায় নিয়ম করে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া, ওষুধ খাওয়া এসব অবশ্যই করবেন। সঙ্গে নজর দিন ডায়েটে। অর্জুন গাছের ছাল বেটে জলের সঙ্গে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না কিন্তু।
গলাব্যথায়- ঠাণ্ডা-গরম আবহাওয়াতে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা খুবই সাধারণ। গলা ব্যথা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই অর্জুন গাছের ছাল। গলায় ইনফেকশন হলে এই টোটকা বেশ কার্যকরী। তার আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেবেন|