মমতার দিল্লিযাত্রার আগে বিমানের বার্তা, দেশের স্বার্থে পাশে আছি

মমতার দিল্লিযাত্রার আগে বিমানের বার্তা, দেশের স্বার্থে পাশে আছি

সময় বাংলা ডেস্ক# একুশের ভোটে বাংলায় ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে সিপিএমকে। তারপর ভোট পর্যালোচনায় রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র বলেছিলেন, ভোটের আগে 'বিজেমূল' স্লোগান দেওয়া ভুল হয়েছিল। এও বলেছিলেন সূর্যবাবু যে, বিজেপির সঙ্গে আর কোনও দলকেই এক করে দেখা উচিত নয়।

সেই রেশ ধরেই রবিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়ে দিলেন, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী যে কোন শক্তির সঙ্গে তাঁরা কাজ করতে প্রস্তুত। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা নির্মল জানার স্মরণ সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিমান বসু।

সেখানে তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কি তৃণমূলের সঙ্গেও আপনারা এক মঞ্চে যাবেন? জবাবে বিমান বসু বলেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা—বিজেপির বিরুদ্ধে সবার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এরপর তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূলের সঙ্গেও? এরপর কিছুটা গলা খেঁকিয়েই বিমানবাবু বলেন, 'বললাম তো, বিজেপি বিরোধী সবার সঙ্গে? এরপরেও আর কিছু বলার আছে?' যদিও জোট বা বোঝাপড়ার কথা বলেননি সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য।

তাঁর বক্তব্য, সর্বভারতীয় স্তরে আন্দোলন-সংগ্রামের প্রশ্নে বিজেপি বিরোধী যে কোনও দল নিয়ে তাঁদের বিন্দুমাত্র ছুত্‍মার্গ নেই। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিমানবাবু বারবার তাঁর কথায় সর্বভারতীয় স্তর কথাটা বারবার করেছেন। যার অর্থ, বাংলায় তৃণমূল আর বামেরা এক হয়ে নামবে না। তবে দিল্লিতে একসঙ্গে একমঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজাদের দেখা গেলে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

বিজেপির বিরুদ্ধে অতীতেও বাম-তৃণমূল বন্ধনীতে যে আসেনি তা নয়। আগেও দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও বিষয় নিয়ে যখন বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন তখন রাহুল গান্ধী, ডেরেক ও'ব্রায়েনদের সঙ্গে সীতারামকেও দেখা গিয়েছিল। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সরেনের শপথ অনুষ্ঠানেও রাহুল, মমতা, সীতারাম হাজির ছিলেন মঞ্চে। তবে বাংলায় ভোটের পর যখন বাম-কংগ্রেসের ব্যাপারে মমতা কিছুটা নরম , বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া নিয়ে যখন দিদির গলায় শোনা গিয়েছে, 'বিজেপির থেকে ওরা কয়েকটা জিতলে ভাল হত', তখন যেন মমতা দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবাবুও বার্তা দিয়ে দিতে চাইলেন।