দেবী কালরাত্রির কৃপায় দূর হবে কঠিন রোগ! সপ্তমীতে মানুন সামান্য নিয়ম

সপ্তমীর সকাল হলেই মণ্ডপ থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ। মহিলারা লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে জড়ো হন নিকটস্থ কোন জলাশয়ের কাছে। তারপর ঢাকের বাদ্যি, উলুধ্বনি আর শঙ্খের আওয়াজে সম্পন্ন হয় নবপত্রিকা স্নান। বাঙালির দুর্গাপুজোর ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে নবপত্রিকা।
দেবী কালরাত্রির রূপ ভয়ঙ্কর। দেবীর গায়ের রং ঘন কালো। তিনি এলোকেশী। গলায় রয়েছে বজ্রের মালা। ত্রিনয়না দেবীর চোখগুলি অনেকটা ব্রহ্মাণ্ডের মতো গোলাকার। চতুর্ভূজা দেবীর হাতে রয়েছে খড়্গ এবং লোহার কাঁটা। অপর দুটি হাত বর এবং অভয় মুদ্রার ভঙ্গিতে রয়েছে। দেবী কালরাত্রি রূপ ভয়ঙ্কর হলেও তিনি শুভ ফল প্রদান করেন। ১৫ই আশ্বিন রবিবার গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুযায়ী মহা সপ্তমী তিথি থাকবে সন্ধ্যা ৬ টা ২১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত। সুফল পেতে এই সময়ের মধ্যে নিম্নে বর্ণিত নিয়মগুলি মেনে চলুন।
•এই দিন সকালে স্নান সেরে শুদ্ধ বসনে দেবী কালরাত্রির আরাধনা করলে গ্রহের বাধা দূর হয়।
•প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী কালরাত্রির ভক্ত কিংবা উপাসকরা যদি দেবীকে স্মরণ করেন তাহলে রাক্ষস, ভূত,প্রেত, দানবের অশুভ শক্তি কাজ করে না।
•কেউ যদি আগুন, জল কিংবা জন্তু-জানোয়ার থেকে ভয় পান তাহলে সেই ভয় দূর করতে দেবী কালরাত্রির আরাধনা করতে পারেন।
•সপ্তমীর দিন দেবীর মন্ত্র জপের পর দ্রুত ভোজনে বসবেন না। ধীরে সুস্থে পুজোর সমস্ত জিনিস গুছিয়ে রাখবেন। তারপর পুজোর স্থান পরিষ্কার করে উপবাস ভাঙবেন।
• সপ্তমীর দিন দেবী কালরাত্রির উদ্দেশ্যে গুড় কিংবা গুড়ের তৈরি জিনিস নিবেদন করা শুভ। রোগ, শোক থেকে মুক্তি পেতে এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখতে বহু মানুষ গুড়ের ভোগ নিবেদন করেন।
•সপ্তমীর দিন ভুলেও তাল খাবেন না। মনে করা হয়, এই দিন তাল খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এবং সংসারের নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
•দেবী কাল রাত্রি হলেন অসুর বিনাশকারী। তাই এইদিন নীল রঙের পোশাক পরলে দেবী তার প্রতি কৃপা বর্ষণ করেন।