টানা পাঁচদিন কাহিল ইনফ্লুয়েঞ্জায়, মুখ বিস্বাদ! তেতো ভাব কাটাতে মেনে চলুন এই পরামর্শ

টানা পাঁচদিন কাহিল ইনফ্লুয়েঞ্জায়, মুখ বিস্বাদ! তেতো ভাব কাটাতে মেনে চলুন এই পরামর্শ

বর্ষায় যে কোনও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। বাড়ে যে কোনও সংক্রামক ব্যাধিও। ঘরে ঘরে এখন ভাইরাল ফিভার। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোভিড, ডেঙ্গিও। তবে নয়া জ্বরে কাবু গোটা রাজ্য। অদ্ভুত এই জ্বরকে ঘিরে উদ্বিগ্ন চিকিত্‍সকমহলও। ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়া নয়। পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না কোভিডও।

তবুও ঘোরাফেরা করছে ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর মধ্যে। মুখ তেতো, খাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই। কিছুজনের ক্ষেত্রে পেটখারাপ আর ডায়েরিয়াও হচ্ছে। এর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না চিকিত্‍সকেরা। কিছুজনকে হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হচ্ছে। ৭-১০ দিনের আগে কাটছে না ইনফেকশন। থাকছে প্রবল কাশি। নাক বন্ধ, সর্দি। নাক দিয়ে জল পড়ছে। ঘুমও হচ্ছে না ঠিকমতো। প্রচুর মানুষ এখন ভুগছেন এই জ্বরে। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশু, কিশোররাও আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। এমনকী প্যারাসিটামলের ২ টো ডোজের পরও নামছে না জ্বর।

যদিও চিকিত্‍সকেরা বলছেন এসবই মরশুমের ভাইরাল ফিভার। প্রতি বছরই বর্ষায় সংক্রমণের জেরে বাড়ে এই জ্বর। এবছরও ঠিক তাই। বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া এবং প্যারাসিটামলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা ঠিক হয়ে যাচ্ছে। কোভিড, ডেঙ্গি ভেবে অনেকেই তা ভুল করছেন। এক্ষেত্রে হাই ফিভার থাকলেও তা কিন্তু ডেঙ্গি নয়। তবে এই জ্বরে অধিকাংশ মানুষই খেতে পারছেন না। খিদে নেই, রুচি নেই। মুখে তেতো ভাব।

তবে জ্বরের সময় মুখে তেতো ভাব খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এই সময় কাশি বেশি থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। বেশি ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ খাওয়ার কারণেই আমাদের স্বাদ হারিয়ে যায়। সব কিছুই তখন তেতো লাগে। কোনও খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। খুব তাড়াতাড়ি অ্যাসিডও হয়ে যায়। হজম ক্ষমতা কমে যায়। এক্ষেত্রে রোজ একটা করে লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকেরা। এতে যেমন মুখের তিতকুটে ভাব কাটবে সেই সঙ্গে ফিরবে স্বাদও। খিদেও ভাবে এবং হজম ঠিকমতো হবে।

জ্বরে মুখের স্বাদ হারিয়ে গেলে আচার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একেবারে কম মশলাযুক্ত খাবার, কম তেল দেওয়া খাবার এবং খাবারে নুনের পরিমাণ কম রাখতে বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে মিষ্টি খাবার খান। জিভে স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে রোজ যাতে পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও রোজ ফল, স্যুপ খেতে বলছেন চিকিত্‍করা। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা বজায় থাকবে। শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাবে। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়বে। পাসাপাশি বারেবারে আদা, মধু আর গোলমরিচ দিয়ে চা খেতে পারেন। প্রাকৃতিক মিষ্টি দেওয়া খাবার খেতে পারেন। জ্বরে শরীরের অ্যাসিডিক মাত্রা বেড়ে যায় বলেই এই সমস্যা বেশি হয়।