'ইউভানকে ফোন করিস, বন্ধু বানাস.', জন্মদিনে বহু দূরে ছেলে, খোলাচিঠি মা দেবশ্রীর

'ইউভানকে ফোন করিস, বন্ধু বানাস.', জন্মদিনে বহু দূরে ছেলে, খোলাচিঠি মা দেবশ্রীর

ই প্রথম বার ছেলের জন্মদিনে দেখা হচ্ছে না মায়ের। ছেলে পড়তে গিয়েছে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে। সেখান থেকে চাইলেই ফেরা যায় না। সারতে হয় ভার্চুয়াল আদর। এক অনন্ত প্রতীক্ষা নিয়েই কাটাতে হয় দিন। কথা হচ্ছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। ছেলে অনীশের জন্মদিন আজ।

জন্মদিনে ছেলেকে নিয়ে এক আবেগঘন পোস্ট করেছেন তিনি। যে পোস্টের প্রতিটি ছত্রে লুকিয়ে আছে মায়ের আদর, বন্ধুর ভরসা।

দেবশ্রী লিখছেন,”… যেদিন তুই কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেল পেলি, যেদিন তুই পড়তে চলে গেলি… সব যেন স্বপ্নের মতো হয়। এখনও বুঝে উঠতে পারি না, এত তাড়াতাড়ি কীভাবে সবটা ঘটে গেল। তোকে ছাড়া অনেকটা দিন কেটে গিয়েছে। আমি, নাননান (শুভশ্রী) চোকোস (রাজ), দিদামা, দাদু সবাই তোকে খুব আশা নিয়ে ওদেশে পাঠিয়েছি। আমি জানি, তুই আমাদের নিরাশ করবি না। জানি বিদেশে একা থাকতে তোর একদম ভাল লাগছে না। কিন্তু কিছু বছরের তো ব্যাপার। একটু মানিয়ে নে।” ডিসেম্বরে ছেলে ফিরবে ঘরে। তখন তাকে ‘চটকে পটকে লাল করে দেবে’ মা। বলে রেখেছেন আগেই। আর তাতে যদি ছেলের রাগ হয়, শুনতে নারাজ মা। মা লিখছেন, “ইউভানকে মাঝেমধ্যে ফোন করিস, নয়ত ডিসেম্বরে ও তোকে ভুলেই যাবে।” ছেলে বাইরে গিয়েছে মানেই থাকতে হবে কড়া অনুশাসনে, এমনটা নয়। বন্ধু বানাক অনীশ, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাক এমনটাই চেয়ে ছেলেকে মায়ের আশ্বাস, “না, আমি কাউকে ডেট করছি না। তোর আর আমার কাসল ট্রিপের অপেক্ষায় আছি। পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন মানুষটাই যে তুই, তাই না? তুই আজ ১৯ হলি। কী ভীষণ মিস করছি তোকে।”

দু’বারই বিয়ে সফল হয়নি দেবশ্রীর। ছেলে অনীশকে নিয়েই তাঁর জীবন। অনীশও যেন মা অন্ত প্রাণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ঝলক বারেবারেই দেখেছে নেটিজেন। জন্মদিনে আরও একবার সেই কেমিস্ট্রি প্রকাশ্যে। আপাতত ডিসেম্বরের অপেক্ষা। মা তাকিয়ে আছেন সেদিকেই। সেলিব্রেশন না হয় তোলা থাক তখনের জন্যই।