Cancer Risk Factor: মাত্র ৩টি অভ্যাসে বদল আনলেই ক্যান্সারে মৃত্যুর হার কমে যাবে ৪৪ শতাংশ, দাবি গবেষণার

Cancer Risk Factor: মাত্র ৩টি অভ্যাসে বদল আনলেই ক্যান্সারে মৃত্যুর হার কমে যাবে ৪৪ শতাংশ, দাবি গবেষণার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হৃদরোগের পর বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ক্যান্সার। ক্যান্সার ভয়াবহতা নিয়ে আলাদা করে কিছুই বলার অবকাশ রাখে না। কিন্তু এখনও গবেষকরা নিশ্চিত ভাবে দাবি করতে পারেন না যে ক্যান্সারের পিছনে আদতে কোন কারণগুলো দায়ী। তবে অবশ্যই এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বা রিস্ক ফ্যাক্টর।

সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, আপনি যদি এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে অবগত থাকেন এবং সেগুলো প্রতিরোধ করতে পারেন তাহলে ক্যান্সারকেও অনেকাংশে ঠেকানো যায়।

দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে ৪৪.৪ শতাংশ ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর পিছনে এমন কিছু কারণ দায়ী যা আদতে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের তথ্য এই গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই গবেষণায় ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২০৪টি দেশে ক্যান্সারের জন্য মৃত্যু হওয়া রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এখানে প্রায় ৩৪টি রিস্ক ফ্যাক্টর খুঁজে পান গবেষকরা, যেগুলো ২৩ ধরনের ক্যান্সারের সঙ্গে জড়িত।

বিশ্বব্যাপী ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্যান্সারের মৃত্যুর হার ২০.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই গবেষণায় বেশ সাধারণ রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে প্রধান তিনটি রিস্ক ফ্যাক্টর হল ধূমপান, মদ্যপান এবং স্থূলতা। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে, এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো আমাদের লাইফস্টাইলের সঙ্গেই জড়িত।

২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসযন্ত্রের ক্যান্সারের কারণে। তবে ধূমপানের কারণে শরীরের যে কোনও অংশে ক্যান্সার হতে পারে। এটি মুখ ও গলা, খাদ্যনালী, পাকস্থলী, কোলন, মলদ্বার, লিভার, অগ্ন্যাশয়, স্বরযন্ত্র, ব্রঙ্কাস, কিডনি এবং রেনাল পেলভিস, মূত্রাশয় এবং জরায়ুর ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

একই ঘটনা ঘটতে পারে নিয়মিত এবং অত্যধিক পরিমাণে অ্যালকোহল সেবনে। অ্যালকোহল লিভারের ক্ষতি করে এবং শরীরে প্রদাহ তৈরি করে। পাশাপাশি কোলন এবং মলদ্বার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুতরাং, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গেলে অ্যালকোহল সেবনও কমাতে হবে।

ক্যান্সারের আরও একটি উল্লেখযোগ্য রিস্ক ফ্যাক্টর হল ওজন। অতিরিক্ত ওজন কখনওই শরীরের জন্য ভাল নয়। ওবেসিটি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাইপারটেনশন এবং আরও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত ওজন ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং এই কারণে চিকিত্‍সার পরেও ক্যান্সার ফিরে আসে। ওবেসিটির সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।