ছানার দাম ১৮২ টাকা বাড়িয়ে ২৬০ টাকা আর তাতেই পুজোর সময় ছানার মিষ্টি দই থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে মেদিনীপুর

এবার পুজোর সময় ছানার মিষ্টি দই থেকে বাদ পড়তে চলেছে মেদিনীপুর।কেননা ছানার দাম অবৈধভাবে দ্বিগুণ করতে চাইছেন ছানা ব্যাবসায়ীরা। আর তাতেই ছানার মিষ্টি তৈরি থেকে বিরত থাকতে চাইছেন মেদিনীপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী।ফলে মানুষ ছানার মিষ্টি থেকেই বঞ্চিত হতে চলেছে।
তাতেও হয়তো আর ছানার মিষ্টি দেওয়া যাবে না জঙ্গলমহলের মানুষকে।আর তাতেই পুজোর সময় সমস্যায় পড়তে পড়বে সাধারণ মানুষজন। কারণ সামনে বাংলা আর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপূজা এবং দুর্গাপুজোর হাত ধরেই লক্ষ্মী,জগধাত্রী এবং শেষ পর্যন্ত সরস্বতী পুজোতে শেষ হবে পুজোর মরশুম। আর প্রতি পুজোতেই মিষ্টি এক অপরিহার্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।কিন্তু বর্তমানে মেদিনীপুরের এই মিষ্টি দোকান থেকে উধাও হতে যেতে বসেছে এই ছানার মিষ্টি দই,রসগোল্লা,রাজভোগ,পান্তুয়া,চমচম,রসমালাই সঙ্গে দই। ব্যবসায়ীদের দাবি অনেকবারই তারা বসার চেষ্টা করেছেন ছানা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিন্তু তারা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন ইতিমধ্যে।যার ফলে সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাদের।
এই দিন মেদিনীপুরের মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী গণেশ চন্দ্র মাইতি ও শশধর রায়রা বলেন গত ২১ সালের নভেম্বর মাসে মাসে ছানার দাম বাড়ানো হয়েছে প্রায় চার টাকারও বেশি। কিন্তু তারপর আবার ২০২২ শে এই সেপ্টেম্বর মাসেই দাম বাড়ানো কোনো পক্ষেই সম্ভব নয়।তাই আমরা মিষ্টির ছানার মিষ্টির বদলে বেসন,ময়দা ও গুড়ের মিষ্টি বিক্রি করছি।যাতে লস যেমন হচ্ছে তার সঙ্গে ক্রেতাদের ক্ষোভ বাড়ছে। যদিও এই বিষয়ে মেদিনীপুর মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীর সম্পাদক সুকুমার দে বলেন গত ২০২১ সালেই ছানার দাম বাড়ানো হয়েছে। তারপর এই বর্ধিত হারে ওরা যদি ছানার দাম দাবি করে তা কোন মতে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।যেখানে খোদ কলকাতাতে মিষ্টির দাম বাড়ছে না এবং ছানা একই দামে পাওয়া যাচ্ছে সেখানে জঙ্গলমহল অধ্যুষিত মেদিনীপুরে এত দাম কেন। তার দাবি তিনি তুলেছেন এবং বারবার আলোচনা বসার চেষ্টা করা হলো কিছুতেই তারা দাবি মানছে না বলে তিনি জানান।তিনি এও দাবি করেন জঙ্গলমহল মেদিনীপুর কখনো পশ্চিমবাংলার বাইরে নয় তাহলে ছানার দাম এত বাড়ছে কেন।