করোনা আতঙ্ক অতীত মহালয়ার সকালে ঘাটে ঘাটে চেনা ভিড় পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা

করোনা আতঙ্ক অতীত মহালয়ার সকালে ঘাটে ঘাটে চেনা ভিড় পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা

শ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠল আলোর বেণু! আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনা। চারিদিকে পুজো-পুজো গন্ধ। সকাল থেকে গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে উপচে পড়ছে মানুষের ঢল। কার্যত মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় শহর কলকাতার দুর্গাপূজা। ১৪২৯ বঙ্গাব্দ বা ইংরেজি ২০২২ সালের মহালয়া রবিবার।

হিসেবমতো তার পর থেকেই শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো।

মহালয়ার সকাল থেকে কলকাতা সহ জেলার একাধিক ঘাটে ঘাটে উপচে পড়েছে ভিড়। পিতৃপুরুষের উদ্দেশে চলছে তর্পণ। প্রশাসনের তরফে ঘাটে ঘাটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে মোতায়েন কলকাতা পুলিশ, রিভার ট্রাফিক পুলিশ। কোন রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তত্‍পর কলকাতা পুলিশ।

হাওড়ার শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে ঢল নেমেছে পুন্যার্থীর। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যায় পুলিশ কর্মী। ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজর দারি। উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি গঙ্গার ঘাটেও চলছে তর্পণ। রবিবার মহালয়া উপলক্ষে ভোর ৪ টে থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কলকাতা শহরে কোনওরকম পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। তবে কিছু কিছু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।

করোনা আতঙ্ক কিছুটা ফিকে হতেই বছর দুই বাদে চেনা ছন্দে গঙ্গার ঘাটগুলি। ভিড় করেছে অসংখ্য মানুষ। কোনও রকমের কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য তত্‍পর রয়েছে কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন ঘাটে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমের চালানো হচ্ছে নজরদারি। যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।

আহিরীটোলা-বাগবাজার থেকে বাবুঘাট-দক্ষিণেশ্বর, সর্বত্রই নজরে পড়েছে থিকথিকে ভিড়। জেলার কোথাও কোথাও সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটে তর্পণের লম্বা লাইনও নজরে এসেছে। কলকাতা, হাওড়ার পাশাপাশি হুগলি, মালদা, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর প্রতিটি জেলাতেই একই ছবি ধরা পড়েছে। করোনা আবহে এই চেনা ভিড়ের দেখা মেলেনি। অতিমারী কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই বাবু ঘাটের চেনা ছবি ধরা পড়েছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই গঙ্গার ঘাটে ঢল নেমেছে পুন্যার্থীর। ভিড় সামলাতে পুলিশ কর্মীদের রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে।