Cow Smuggling Case: হাইওয়েতে নামল গাড়ির কাঁচ, অনুব্রত যা বললেন, তোলপাড় পড়ল বাংলায়

Cow Smuggling Case: হাইওয়েতে নামল গাড়ির কাঁচ, অনুব্রত যা বললেন, তোলপাড় পড়ল বাংলায়

নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেও মেলেনি সুবিধা। ফের সিবিআই হেফাজতেই যেতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে আগামী ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এরপরই ফের কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয় অনুব্রতকে। সেই ফেরার সময়ই হাইওয়েতে গাড়ির কাচ নামিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, 'আমার কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।'

শনিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখান থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল আদালতে। গরু পাচার-কাণ্ডে আসানসোল আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। সিবিআই হেফাজতের বিরোধিতা করে তিনি জানান '' অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতি ভাল নয়, ওঁর বিভিন্ন রোগ আছে, সেই কারণেই উনি হাজিরা দিতে যেতে পারেননি। 'হেলথ কন্ডিশন গ্রাউন্ড'-টা বিবেচনা করা হোক! আমাদের তরফে সমস্ত মেডিক্যাল ডকুমেন্টস-ও সিবিআই-এর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।'' বিচারকও অনুব্রতকে তাঁর শরীরের পরিস্থিতির কথা জানাতে বললে, তিনি বলেন, ''আমি অসুস্থ। আমার শরীর বরাবর খারাপ।''এরপরই বিচারক বলেন, ''চিকিত্‍সকদের বলেছিলাম, তাঁরা আপনাকে দেখছেন তো?'' অনুব্রতের জবাব, ''ওষুধ খাচ্ছি।'' শুনে বিচারক বলেন, ''অসুবিধা হলে চিকিত্‍সককে বলতে দ্বিধা বোধ করবেন না।'' বিচারকের কথার প্রেক্ষিতে অনুব্রত বলেন, ''আচ্ছা''। পাল্টা সিবিআই অবশ্য দাবি করে, ''অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী ব্যক্তি। এর আগে বহুবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অভিযুক্ত চিকিত্‍সককে চাপ দিয়ে মেডিক্যাল রিপোর্ট লিখিয়ে নিয়েছেন। উনি সাধারণ অভিযুক্ত নন। সায়েগল হোসেন, এনামুল হক সবাই আছে...এটা সিঙ্গল চেন নয়... এটা পিছনে বড় ষড়যন্ত্র আছে...! অনুব্রতর বড় ভূমিকা রয়েছে গরু পাচারে, ওঁকে সিবিআই কাস্টডিতে নেওয়া দরকার।'' এরপরই ফের অনুব্রতকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘনিষ্ঠদের নামে অনুব্রতর প্রচুর বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও রয়েছে ফার্ম হাউস, জমি, রাইস মিল। সেক্ষেত্রে অনুব্রতর আয়ের উত্‍স কী, তা জানতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।