পুলিশি হেফাজতে এবার বিজেপির প্রভাবশালী নেতা, অপরাধ সাইবার ক্রাইম

পুলিশি হেফাজতে এবার বিজেপির প্রভাবশালী নেতা, অপরাধ সাইবার ক্রাইম

সময়বাংলা#দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ভুয়ো পোস্টের সরাসরি যোগ পাওয়া গেল বিজেপি নেতার।জানা যায় সেই বিজেপি প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ।অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মুখ্যমন্ত্রী ছবি দিয়ে কুরুচিকর পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর।সামাজিক মাধ্যমে কয়েক দিন আগেই দুর্গাপূজা নিয়ে বেশকিছু ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল হয়।সেখানে বলা হয় দুর্গাপূজার বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য পুজোর দিন গুলোতে থাকবে রাতে কার্ফু।

 বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরে আসে তার পরেই গ্রহণ করা হয় ব্যবস্থা।এই বিষয়টি কেন্দ্র করে পুলিশ গ্রেফতার করে ৪ জনকে এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের শুভ্র দে।তৃণমূল কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ তুলেছিল জেলা থেকে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি মূলক পোস্ট করছেন কেউ।তারপর জানা যায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে কৃষ্ণ বাজার এলাকায় বিজেপি নেতা সুনীল মণ্ডল এই ধরনের বিভ্রান্তিকর পোস্ট করেছিলেন।এরপরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।এই ঘটনায় জেলা তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে করা হয় আক্রমণ।

তৃণমূল বলে বিজেপি সংস্কৃতি বাঙালি সংস্কৃতি নয়।বিজেপি জানেনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই দুর্গাপূজার কার্নিভাল কলকাতায় শুরু হয়েছে। এছাড়াও কলকাতার বড় বড় দুর্গা পুজোর পেছনে রয়েছে অনেক শাসকদলের নেতা মন্ত্রী।বিজেপি এ ধরনের পোস্ট করে সমাজে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে চাইছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।এ প্রসঙ্গে আবার অভিযুক্ত সুনীল মণ্ডল জানায় ফরওয়ার্ড করা ম্যাসেজ  শেয়ার করেছেন শুধু।পুলিশের বলায় তাও তিনি মুছে দেয়।তার অভিযোগ বিজেপি হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সাইবারক্রাইম নিয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য।এই প্রসঙ্গে দেখা যায় গত পাঁচ মাস অর্থাৎ করোনার জেরে লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ক্ষতিকারক ভুয়ো খবর ও গুজব ছড়ানোর দায়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় আড়াইশো টিরও বেশি বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।সারা দেশ থেকে শুরু করে গোটা রাজ্য জুড়ে যে সাইবারক্রাইমের মতো অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছে।

এছাড়াও এক পুলিশকর্তা জানায়, ‘‌রাজ্যের সাইবার ক্রাইম সেলে আইআইটি বা সমতুল্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেই চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে যে কোনও সাইবার অপরাধের ব্যাপারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে বিভিন্ন থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’‌

এ ব্যাপারে তৃণমূলের রাজ্য সভার নেতা ও দলের মুখপাত্রের ডেরেক ও’‌ব্রায়েন বলেছেন, ‘‌নির্বাচনী মাঠে এবং ভার্চুয়াল জগৎ— দুটোতেই বিজেপি–কে পরাস্ত করতে যা যা প্রয়োজনীয় আমরা সব করব।’‌ 

 সুতরাং সমস্ত ক্ষেত্রেই বিজিপির দিকে অভিযোগের তীর উঠছে।তাই পাল্টা মন্তব্য করে বিজেপি–র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘‌পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের হয়রান করতে নানা মিথ্যে মামলায় তাঁদের জড়ানো হচ্ছে। কিন্ত এ সব করে ভোটে কোনও লাভ করতে পারবে না ।’‌