দাউদ আছে করাচিতেই! হাটে হাঁড়ি ভাঙল পাকিস্তানের

দাউদ আছে করাচিতেই! হাটে হাঁড়ি ভাঙল পাকিস্তানের

সময় বাংলা ডেস্ক# চিরকালই পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের গর্ভগৃহ, তা আমরা জেনে এসেছি।আন্তর্জাতিক চাপ এবং তীব্র নিন্দা উপক্ষা করে বহু বছর ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। ভারতের মুম্বাই বিস্ফোরণে প্রধান মাস্টার প্ল্যান ছিল দাউদ ইব্রাহিমের। সেই কুখ্যাত গ্যাংস্টার যে এখন করাচিতে রয়েছে তার সরাসরিভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন ইমরান খান এর আগে বারবার অস্বীকার করলেও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই যে মুম্বাইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন কে তাদের দেশে বেশ সম্মান এর সাথেই রেখেছেন তা অজানা ছিলনা ভারতের। শুধু দাউদ নয় এর আগেও বহু গ্যাংস্টার কে আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের কোন কাজের জন্য বিশ্বের দরবার থেকে কোনরকম সাহায্যের অর্থ আসে না তাদের কাছে।

সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে রাখায় ইমরান খানের সরকারের ওপর আর্থিকভাবে আরো চাপ বাড়তে থাকে।এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নিজের ভাবমূর্তি ফেরাতে অষ্টআশি জন জঙ্গিকে শনিবার তাদের দেশ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এই ঘোষণা মানেই যে পাক সরকার জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে চলেছেন এমনটা ভেবে বসার কোন কারণ নেই।

পাকিস্তান সরকার কোনদিন কোন কিছু না ভেবে করেনি। এই পদক্ষেপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো,প্যারিস কেন্দ্রিক ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স যে তাদের ধূসর তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন সেখান থেকে বেরিয়ে আসা।সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে একরকম বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ইসলামাবাদকে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী এই নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে হাফেজ সহীদ,মাসুদ আজহার এবং দাউদ ইব্রাহিম।প্যারিস কেন্দ্রিক FATF গত ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে রেখেছে।

২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সন্ত্রাসবিরোধী প্যারিসের এই আর্থিক সংস্থা।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কোনরকমে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাইছেন ইসলামাবাদ। অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে আন্তর্জাতিক অর্থ দাতা সংস্থা জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে তাদের অর্থনৈতিক সংস্কার বড়সড় ধাক্কা খাবে। যদি খুব তাড়াতাড়ি এই ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তান নিজেকে বের করতে না পারে, তাহলে তার নাম কালো তালিকায় চলে যাবে।