মারণরোগ কেড়ে নেয় স্ত্রীকে একাহাতে মানুষ করেছেন ছেলেকে বলিউডের খলনায়ককে জীবনদান করেন মুগ্ধা

মারণরোগ কেড়ে নেয় স্ত্রীকে একাহাতে মানুষ করেছেন ছেলেকে বলিউডের খলনায়ককে জীবনদান করেন মুগ্ধা

সুদর্শন চেহারা, ঈর্ষনীয় উপস্থিতি, পারিবারিক আভিজাত্যও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিনোদন জগতের আকর্ষণ উপেক্ষা করতে পারেননি। অভিনেতা হতে এসে খলনায়কের তকমাই সেঁটে গিয়েছে গায়ে। তাতেও বরাবর নজর কেড়েছেন রাহুল দেব।

দিল্লিতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা রাহুলের। বাবা ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনা হিসেবে মোতায়েন ছিলেন। মা ছিলেন পেশায় শিক্ষিকা। রাহুলের ভাই মুকুল দেবও জনপ্রিয় অভিনেতা।

সুদর্শন চেহারার জন্য মডেলিংয়ে সুযোগ পেয়ে যান রাহুল। দিব্য়ি রোজগারও করছিলেন। কিন্তু অভিনয়ের দিকে ঝোঁক ছিল বরাবরের। ২০০০ সালে সানি দেওল মণীষা কৈরালা অভিনীত 'চ্যাম্পিয়ন' ছবিতে প্রথম অভিনয়।

প্রথম ছবির জন্য ২০০২ সালে সেরা খলনায়কের পুরস্কারও জেতেন রাহুল। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রাহুলকে। হিন্দি, পাঞ্জাবী, তামিল, তেলুগু, মলয়ালম, কন্নড়-সহ একাধিক ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

সুদীর্ঘ কেরিয়ারে বার বার প্রশংসিত হয়েছে রাহুলের অভিনয়। নানা ধরনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার, সম্মানও। কিন্তু খলনায়কের পরিচিতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি রাহুল।

বড়পর্দার বাইরে টেলিশনেও অভিনয় করেছেন রাহুল। 'দেবো কে দেব...মহাদেব' সিরিয়ালে অরুণাসুরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার জন্যও প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।

রাহুলের অনুপ্রেরণা হলিউড তারকা আর্নল্ড সোয়ার্ত্‍জেনেগার। রাহুল নিজেও শরীরচর্চার প্রতি বিশেষ আগ্রহী। নিয়মিত জিমে যাওয়া, কড়া ডায়েটে মেনে চলার জন্য পরিচিত তিনি। তাঁকে দেখে বয়স বোঝা না যাওয়ার এটাও বড় কারণ বলে মনে করা হয়।

গ্ল্যামার দুনিয়ার বাসিন্দা হলেও সময়ে সংসারও পেতেছিলেন রাহুল। কিন্তু ২০০৯ সালে স্ত্রী রিনা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে।

এর পর ২০১৩ সালে এক বন্ধুর বিয়েতে মডেল তথা অভিনেত্রী মুগ্ধা গডসের সঙ্গে আলাপ হয় রাহুলের। পরে দেখা যায় তাঁদের গুরুও এক। এর পরই দু'জনের ঘনিষ্ঠতা শুরু। রাহুল এবং মুগ্ধার বয়সে ১৮ বছরের ফারাক রয়েছে। কিন্তু বয়সের সামনে প্রেম কবেই বা মাথা নুইয়েছে! দু'জনে মুম্বইয়ে লিভ ইন করেন।

রাহুল জানান, শুরুতে মুগ্ধার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তাঁর একমাত্র ছেলে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। মুগ্ধার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রাহুলের বক্তব্য, 'জীবন আমাকে আরও একবার বাঁচার সুযোগ দিয়েছে। আমরা পরস্পরকে খুব ভাল বুঝি।'