ধোনির মন ভাল করতে মিষ্টি, ক্রিকেট নিয়ে কপিল-কথা, আড্ডার স্মৃতিচারণ অম্বরীশের

ধোনির মন ভাল করতে মিষ্টি, ক্রিকেট নিয়ে কপিল-কথা, আড্ডার স্মৃতিচারণ অম্বরীশের

১৯৮৩ সাল, জুন মাস। মাত্র ৪ বছর বয়স। আবছা আবছা মনে রয়েছে তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ফাইনালে জিতে বিশ্বকাপ নিয়ে এলেন কপিল দেব। খেলা শেষ হয়েছিল অনেকটা রাতে। কিন্তু তাঁর বাবা, পাড়ার কাকুরা সবাই মিলে রাস্তায় বেরিয়ে হইচই করে রং মশাল জ্বালিয়েছিলেন।

সেই দিনটা শৈশবের সঙ্গে মিশে রয়েছে। এক বার বাবার সঙ্গে ইডেনে গিয়েছিলেন কপিল দেবকে দেখবেন বলে। কিন্তু সে দিন কোনও ভাবেই কপিল দেব বাউন্ডারির দিকে আসেননি। অনেকটা দূরে ছিলেন। দেখতেই পাননি তিনি। খুব কান্নাকাটি করেছিলেন।

আজ সে দিনের ছোট্ট অম্বরীশ ভট্টাচার্য নাকি সেই গল্পটি নিজে মুখে সেই কপিল দেবকেই শোনালেন। পাশে দাঁড়িয়ে সময় কাটালেন। কপিল নাকি গল্পটি শুনে খুব আপ্লুত, হাসছিলেন মন ভরে।

কপিল দেবের একটি কথা বারবার তাঁর মনে ভেসে উঠছে। অম্বরীশ নিউজ18 বাংলা ডট কমকে বললেন, ''এই যে এখনকার দিনে ক্রিকেটাররা বারবার বলেন, 'বড্ড প্রেশার, বড্ড প্রেশার', কপিলজী এটাকে 'মার্কিনি কথা' তকমা দিলেন। এই শব্দে বিশ্বাসী নন তিন। এই 'প্রেশার' তাঁর কাছে 'প্লেজার'। কপিলজী বললেন, 'ক্রিকেটার হয়েছি কাজটাকে ভালবেসে। আর যেটাই ভালবেসে করছি, তা প্রেশার কেন হবে? এটার জন্যেই জন্মেছি।' কপিলজী মনে করেন, আর এরকমটা ভেবে মাঠে নামলে এক বার কেন, বারবার বিশ্বকাপ জেতা যায়।''

জয়পুরে একটি স্টিল সংস্থার ক্লায়েন্ট মিট আয়োজিত হয়েছে রাজস্থানের জয়পুরে। আর রবিবার সেখানেই সেই সংস্থার অল ইন্ডিয়ার দুই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে দেখা হয় সেই সংস্থারই বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর অম্বরীশের।

কেবল কপিল নন, সঙ্গে আবার পেয়ে গিয়েছেন ধোনিকেও। তাঁর সঙ্গে একটু বেশিই খোশগল্প করার সুযোগ পেয়েছেন অম্বরীশ। যে দুটি মানুষ দেশের জন্য বিশ্বকাপ জিতেছেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা সারা জীবন মনে রেখে দেবেন বাঙালি অভিনেতা।

অম্বরীশের কথায়, ''ধোনির সঙ্গে অনেক গল্প হল। তিনি যখন খড়গপুরে থাকতেন, রেলে চাকরি করতেন, সেই সময়কার গল্পগুজব হল। নিজের হোটেল রুমেও ডাকলেন তিনি। খুব মিশুকে একটা মানুষ। আসলে আমি যখন বললাম যে জয়পুর শহরটি ঘুরে দেখতে বেরোচ্ছি, ধোনি দুঃখ করছিলেন, এখন আর কোথাও যেতে পারেন না। যখন থেকে জয়পুর ভ্রমণ করছেন, তবে থেকেই উনি তারকা। ফলে জনসাধারণের মতো ঘোরাফেরা করতে পারেন না। তাই হাওয়া মহল, নাহারগড় ফোর্ট দেখতে ইচ্ছে করে ধোনির।'' আর তাঁর মন ভাল করার জন্য অম্বরীশ জয়পুরের বিখ্যাত মিষ্টির দোকান লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে ওঁর বাড়ির জন্য মিষ্টি কিনে পাঠান। বড়ই আপ্লুত হয়েছেন ধোনি। আর অভিনেতা জানালেন কপিল দেব এবং ধোনির কাছে কলকাতা মানেই ইডেন আর মিষ্টি দই।

ফেসবুকে অম্বরীশ এই ছবিটা পোস্ট করে লিখেছেন, '১৯৮৩ আর ২০১১ এর মাঝে আমি! এমন মুহূর্ত বোধহয় জীবনে একবারই আসে।'