ফেরত দেননি ৪০ মিলিয়ন ডলার, ফের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য বিজয় মালিয়ার

ফেরত দেননি ৪০ মিলিয়ন ডলার, ফের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য বিজয় মালিয়ার

ফের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠল বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে। এই অমান্যের পরিণতি কী হবে, আগামী সপ্তাহে সেটা ঠিক করা হবে। গত ১১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বিজয় মালিয়াকে ৪০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিতে হবে, যেটা তিনি লুকিয়ে সন্তানদের দিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর নিজের সম্পত্তির মধ্যে না দেখিয়ে।

সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে বেঙ্গালুরুর ঋণ উদ্ধার ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে বলা হয় যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেননি পলাতক শিল্পপতি। তিনি রিকভারি অফিসারকে জমা দেননি ৪০ মিলিয়ন ডলার।

গত মাসের ১৮ তারিখ এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি লিখেছিলেন রিকভারি অফিসার। এদিন শুনানির সময় সেই চিঠিটি পেশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট আট শতাংশ বার্ষিক সুদ সহ টাকাটি ফেরত দিতে বলেছিল চার সপ্তাহের মধ্যে। কিন্তু সেই কথায় কর্ণপাত করেননি বিজয় মালিয়া। এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট মালিয়াকে আদালত অবমাননার জন্য চার মাসের জেলের নির্দেশ দিয়েছিল। এসবিআই সহ ব্যাঙ্ক কনসর্টিয়ামকে ৯০০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় মালিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কোর্ট এই নিয়ে যথেষ্ট কড়া অবস্থান নিলেও ভ্রুক্ষেপ করছেন না মালিয়া। বর্তমানে ইংল্যান্ডে আছেন তিনি। কেন্দ্রের সাধ্যমতো চেষ্টা সত্ত্বেও এই ঋণখেলাপি শিল্পপতিকে ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া এখনও বিশ বাঁও জলে।

আইনের বিভিন্ন ফাঁকফোকর ব্যবহার করে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়াটিকে বিলম্বিত করে দিচ্ছেন মালিয়ার আইনজীবীরা। এছাড়াও ওই দেশে অ্যাসাইলাম নেওয়ার জন্যেও আবেদন করেছেন মালিয়া। বিজয় মালিয়া ছাড়াও তাঁর ছেলে সিদ্ধার্থ ও দুই মেয়ে লীনা ও তানিয়ার থেকেও এই অদেয় টাকা উদ্ধার করা যেতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৬ সালে চুপিসারে কয়েকশো কোটি টাকা ঋণ ফাঁকি দিয়ে ভারত ছাড়েন বিজয় মালিয়া। সবার চোখের সামনে লন্ডনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি ইউকে-র নাগরিক। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা আমেরিকার নাগরিকরা। ভারত সরকার তাঁর টিকি ছুঁতে পারছে না।