সংবাদ উপস্থাপক রবীশ কুমারকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র, পুরস্কৃত আন্তর্জাতিক মঞ্চে

সংবাদ উপস্থাপক রবীশ কুমারকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র, পুরস্কৃত আন্তর্জাতিক মঞ্চে

লচ্চিত্র নির্মাতা বিনয় শুক্লার ডকুমেন্টারি হোইয়াল উই ওয়াচড যা বিখ্যাত নিউজ অ্যাংকর রবীশ কুমারকে নিয়ে তৈরি তা ২০২২ টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্‍সবে (টিআইএফএফ) পুরস্কৃত হল।

আড়ম্বরের সঙ্গে বাগদান পর্ব সারলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি এই বলি তারকারদের

ছবি প্রসঙ্গে

ছবিটির নাম নমস্কার। সম্প্রতি সমাপ্ত ফিল্ম গালাতে অ্যামপ্লিফাই ভয়েসেস অ্যাওয়ার্ড জিতেছে এই ছবি। নির্মাতাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে এমনটাই। অ্যামপ্লিফাই ভয়েসেস অ্যাওয়ার্ডের অন্যান্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছে সেরা কানাডিয়ান ফিচারের জন্য নিশা পাহুজার টু কিল এ টাইগার এবং মার্টিকা রামিরেজ এসকোবারের লিওনোর উইল নেভার ডাই এর মতো ছবি।

নিউজরুম ড্রামা

উই ওয়াচড-কে একটি অশান্ত নিউজরুম ড্রামা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যেটি অ্যাংকর এবং সাংবাদিক রবীশ কুমারের আজ এবং তার সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনার ঘনিষ্ঠভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। নির্মাতারা বলেছেন , "ছবির নায়কের লেন্সের মাধ্যমে একজন মানুষের সততাকে আঁকড়ে ধরে দর্শককে তাদের নিজস্ব দায়িত্ব এবং অপরাধ বিবেচনা করার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে। কারণ সংবাদ এবং মিডিয়া আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি যাচাই-বাছাই করে আসন্ন ছবিটি তুলে ধরে। সাহসী, সময়োপযোগী এবং বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্টারির বড় প্রমাণ বলা যেতেই পারে এই ছবিকে'
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির (এএপি) উত্থানকে দীর্ঘস্থায়ী করে বিনয় শুক্লার প্রথম ফিচার অ্যান ইনসিগনিফিক্যান্ট ম্যান, ২০১৬ সালে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উত্সবেও প্রদর্শিত হয়েছিল। চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেন, সাংবাদিকরা হলেন "আমাদের সময়ের প্রধান গল্পকার"।

কী বলছেন পরিচালক?

তিনি বলেছেন, "আমি রবীশের নিউজরুমে দুই বছর কাটিয়েছি, তাকে তার প্রতিদিনের সম্প্রচার তৈরি করতে দেখেছি। রবীশ এবং তার দল কিছু না কিছু গল্প ঠিকই পেয়েই যেত। তাকে দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমরা সংবাদে যে প্রতিটি প্রতিবেদন দেখি, প্রতিবেদনের পিছনে সাংবাদিককে একটি মূল্য দিতে হয় তার ছবি। এখানে মানসিক, আর্থিক, নৈতিক এবং মানসিক মূল্য অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। সেটাই দেখাতে চেয়েছি ছবিতে।

আর কী বলছেন পরিচালক?

তিনি আরও বলেন, "কোন গল্পই সহজ নয়, প্রতিটি গল্পই ব্যক্তিগত। এই চলচ্চিত্রটি সেই ব্যক্তিগত খরচ সম্পর্কে যা সাংবাদিকরা তাদের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য করেন। আমার ফিল্মটি যে কোনো সাংবাদিকের জন্য প্রযোজ্য হবে যারা তাদের অবস্থানে সঠিক ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ছবিটি সাংবাদিকতার প্রতি ভালোবাসার প্রমাণও বলতে পারেন"।