উদ্যাম নাচে বন্ধুদের সঙ্গে মত্ত স্ত্রী, বন্ধ ঘরের ভিতর স্বামীকে এমন অবস্থা দেখে 'থ' সকলে

উদ্যাম নাচে বন্ধুদের সঙ্গে মত্ত স্ত্রী, বন্ধ ঘরের ভিতর স্বামীকে এমন অবস্থা দেখে 'থ' সকলে

কাজের জন্য শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন যুবক। দীর্ঘ পাঁচ-ছয় মাস সেখানেই কাটাতেন তিনি। কিন্তু হঠাত্‍ই হল মর্মান্তিক পরিণতি। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল জামাইয়ের মৃতদেহ। অভিযোগের তির স্ত্রী ও শ্বশুরের দিকে।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘটনা। সেখানে বসিরহাট পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভ্যাবলা দাস পাড়ার ঘটনা।

বছর ২৫ এর পবিত্র সরকার বাড়ি মাটিয়া থানার সাদিকনগর গ্রামে থাকতেন। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। কর্মসূত্রে গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। স্ত্রী-র নাম কাজল সরকার। তাঁদের একটি সাড়ে তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।

এরপর শুক্রবার রাত্রিবেলা অভিযোগ, স্ত্রী কাজল তাঁর বান্ধবীদের নিয়ে ঘরের মধ্যে স্বামীর সঙ্গে একসঙ্গে মিলে উদ্যম নাচ ও মজলিসে মিলিত হয়। তাঁর কিছুক্ষণ পরে জানা যায় স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। কিছুক্ষণ পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখে পবিত্রের মৃতদেহ বিছানার উপর পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তবে কী কারণে পবিত্রকে খুন করা হল? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? তবে এই খুনের পিছনে স্ত্রী কাজল ও শ্বশুর নিমাইকে প্রত্যক্ষ ভাবে মদত দিয়েছে। এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা ঠিক জানতাম না। হঠাত্‍ করে দেখি যে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি। তারপর দেখি প্লাস্টিকে মোড়ানো হচ্ছে। বুঝতে পারছি না খুন করা হয়েছে নাকি মারা গিয়েছে। পুলিশ এসেছে।’