Durga Puja 2022: বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা, মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপুজো এবার না-ও হতে পারে!
পুরসভার নিষেধাজ্ঞার মুখে পুজো। ফের বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে মধ্য কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গাপূজা। ভূগর্ভস্থ জলাধার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটলে দর্শনার্থীদের ক্ষতি হতে পারে সেই আশঙ্কায় এই পার্কে পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পুরসভার তরফে।
কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিজির তরফে নোটিশ দিয়ে পুজো কমিটিকে এই পুজোর কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার নির্দেশে আপাতত মাথায় হাত পুজো কমিটির। প্রায় দেড় মাস আগে সারা হয়েছে খুঁটিপুজো। তারও প্রায় দিন পনেরো পরে শুরু করা হয়েছিল প্যান্ডেল তৈরির কাজ। কোন থিম বা বিশেষ ভাবনা না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ এগিয়ে গিয়েছিল বেশ কিছুটা।পুরসভার তরফে ইন্সপেকশনের নোটিস আসার আগেই প্যান্ডেলের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি পুজো আয়োজকদের। এই পরিস্থিতিতে এখন এই নোটিস ঘুম উড়িয়েছে উদ্যোক্তাদের। কীভাবে পুজো করা হবে এখন সেই আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। মহম্মদ আলি পার্ক পুজো কমিটির সম্পাদক সুরেন্দ্র শর্মা জানান, "প্রায় দেড় মাস আগে সারা হয়েছে খুঁটি পুজো, খুঁটি পুজোতে স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুরসভার বরো চেয়ারম্যান সবাই উপস্থিত ছিলেন। সবাই সবটা জানতেনও। মাস খানেক আগেই সেইমত প্যান্ডেলের কাজও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।" পুলিশের তরফেও ডেপুটি কমিশনার নিজে এসে কাজ খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেন। প্যান্ডেল শুরু হওয়ার এক মাস পরে এখন কাজ বন্ধ করতে বলায় যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা।
রবিবার বিকেলে একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। পূজোর ভবিষ্যত্ কী হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই বৈঠকে। সম্পাদক থেকে কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রত্যেকেই উপস্থিত থাকতে চলেছেন এই বৈঠকে। এই পরিস্থিতিতে আদৌ পুজো কি তাঁরা করতে পারবেন, এই নিয়েই সন্দিহান তাঁরা। আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে পুজো অন্যত্র সরাতে হলে পুজো বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ব্রিটিশ আমলের ইটের তৈরি জলাধারটির দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সাময়িক ভাবে সরিয়ে নিতে হয় এই পুজোটিকে। পাশের দমকল কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে পুজোটিকে দু'বছর আয়োজন করার পরে গত বছর মহম্মদ আলি পার্কের সিঁড়িতে মন্ডপ তৈরি করে পুজো করা হয়। এবছর আবার প্রাঙ্গণের ভেতরে পুজো ফেরানোর ভাবনায় কাজ করছিলেন উদ্যোক্তারা। আপাতত এই নিষেধাজ্ঞার জেরে সেই ভাবনা বিশ বাঁও জলে।