উকুনের জ্বালায় বিব্রত? এই টোটকা ১ সপ্তাহ মানলেই ভ্যানিশ হবে ঝামেলা
উকুন নিয়ে রূপকথার গল্পে কত প্রসঙ্গই না রয়েছে। মাথার উকুন থেকে এক বুড়ির নামই তো হয়ে গেল উকুনে বুড়ি। মাথায় উকুন হলে তার সমস্যার থেকে লজ্জা বেশি। সারাক্ষণ মাথা চুলকোয়। আর মাথায় উকপন হলে পাশে কেউই বসতে চায় না। উকুনের সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয় কমবয়সে বা রোজ স্কুলে গেলে। এছাড়াও যারা নিয়মিত ভাবে ট্রেন, বাসের ভিড়ে যাতায়াত করেন তাদের মধ্যে উকুনের সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি।
উকুনের সমস্যা দূর করতে অনেকেই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেন। প্রাচীন কাল থেকেই এই সব ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে আসছেন ঠাকুমা দিদিমারা। আর তাই উকুন দূর করতে আগে যা করতে হবে তা হল মাথা পরিষ্কার রাখা। রোজ নিয়ম করে মাথা ধুতে হবে। শ্যাম্পু করতে হবে। তেল চিচচিটে, নোংরা, ঘাম বসেই সেখান থেকে উকুনের সমস্যা বেশি হয়।
উকুম মারতে খুব ভাল কাজ করে এসেনশিয়াল অয়েল। তবে কী ভাবে ব্যবহার করবেন তা জেনে রাখা দরকার। উকুন মারতে খুব ভাল কাজ করে টি ট্রি অয়েল। এই অয়েলের মধ্যে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। ড্রপারের সাহায্যে এই অয়েল মাথায় ফোঁটা ফোঁটা ফেলে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর চুল টাইট করে বেঁধে রাখতে হবে ২ ঘন্টা। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন করতে পারহলেই উপকার পাবেন।
নিমপাতা জলে ফুটিয়ে নিন ভাল করে। এরপর শ্যাম্পু করে সেই জলে মাথা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনদিন করতে পারলে খুশকি দূর হবেই।
চুলে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন ভাল করে রেখে দিন ২ ঘন্টা। এরপর চুল টাইট করে বেঁধে রাখুন। সারা রাত চুলে তেল দিয়ে পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। এরপর সরু দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে ভাল করে আঁচড়ে নিন। এতেও কিন্তু উকুন দূর হয়ে যায়।
একবার উকুন হলে তা দূর করা বেশ মুশকিলের। আর তাই যা কিছু অবশ্যই মেনে চলবেন-
সব সময় মাথা পরিষ্কার করে রাখবেন।ময়লা জমতে দেবেন না।
সময়মতো শ্যাম্পু করবেন অবশ্যই। মাথায় নিমপাতা বেটেও লাগিয়ে নিতে পারেন।
চুল সব সময় শুকনো রাখবেন। প্রয়োজনে ব্লো ডাই করুন।
অন্যের চিরুনি, তোয়ালে একেবারেই ব্যবহার করবেন না।