পর্যাপ্ত ঘুম হলেও কাটে না ক্লান্তি সকালের এই সব লক্ষণই জানান দেয় শারীরিক অসুস্থতার

পর্যাপ্ত ঘুম হলেও কাটে না ক্লান্তি সকালের এই সব লক্ষণই জানান দেয় শারীরিক অসুস্থতার

কোভিড পরবর্তী সময়ে বেড়েছে নানা হরমোনঘটিত ব্যাধি। আর সেই তালিকায় রয়েছে থাইরয়েড। প্রচুর মানুষ থাইরয়েডে ভুগছেন। তবে তাঁরা যে থাইরয়েডে আক্রান্ত এ বিষয়ে নিজেরাই কিছু জানেন না। যে কোনও রোগেরই পূর্ব লক্ষণ থাকে। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই। তবে অধিকাংশই এই লক্ষণ উপেক্ষা করে যান। এই থাইরয়েড আন্ডারঅ্যাক্টিভ থাইরয়েড নামে (An underactive thyroid) পরিচিত।

যা সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না। তবে একটা অদৃশ্য অসুস্থতা থেকে যায়। এর মূল লক্ষণ হল ক্লান্তি। কিছুতেই আর ক্লান্তি কাটতে চায় না। এই থাইরয়েডের অধিকাংশ উপসর্গ অনুভূত হয় সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর।

আন্ডারঅ্যাক্টিভ থাইরয়েড কী?

পৃথিবীতে অন্তত ১২ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন। থাইরয়েডের সমস্যা অত্যন্ত সাধারণ এবং পরিচিত একটি রোগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা আক্রান্ত হলেও পুরুষদের শরীরে দেখা যায় থাইরয়েডের রোগ-লক্ষণ। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমোন উত্‍পন্ন হয় তার পরিমাণ কম-বেশি হলেই এই সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোন বিপাকে সাহায্য করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসযন্ত্রের সামনে অবস্থিত প্রজাপ্রতি আকারের ছোট্ট গ্রন্থি হল থাইরয়েড। আন্ডারঅ্যাক্টিভ থাইরয়েড বা নিষ্ক্রিয় থাইরয়েডকে হাইপোথাইরয়েডিজমও বলা হয়। সাধারণত অটোইমিউন হাশিমোটর থাইরয়েডাইটিস দ্বারা সৃষ্ট হয় এই থারয়েড, যেখানে ইমিউন সিস্টেম নিজেই থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে। এই থাইরয়েডের কোনও রকম চিকিত্‍সা না হলে তা মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং শরীরের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ হিসেবে ক্লান্তি

এই থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ হল ক্লান্তি। শরীর থেকে ক্লান্তি কিছুতেই দূর হতে চায় না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই ক্লান্তি যেন আরও বেশি চেপে বসে। অনেকেই আছেন যাঁরা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোলেও সকালে বালিশ থেকে মাথা তুলতেই পারেন না। শরীরে নানা অস্বস্তি থাকে। ক্লান্তি আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও যে কোনও গুরুতর সমস্যারও সাধারণ উপসর্গ কিন্তু এই ক্লান্তি। তাই অবহেলা না করে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন। চিকিত্‍সকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান। ধীরে ধীরে হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ বিকাশ পায়।

হাইপোথাইরয়েডিজমের অন্যান্য লক্ষণ

এই থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ হল ক্লান্তি। শরীর থেকে ক্লান্তি কিছুতেই দূর হতে চায় না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই ক্লান্তি যেন আরও বেশি চেপে বসে। অনেকেই আছেন যাঁরা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমোলেও সকালে বালিশ থেকে মাথা তুলতেই পারেন না। শরীরে নানা অস্বস্তি থাকে। ক্লান্তি আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও যে কোনও গুরুতর সমস্যারও সাধারণ উপসর্গ কিন্তু এই ক্লান্তি। তাই অবহেলা না করে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন। চিকিত্‍সকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান। এছাড়াও যে সব লক্ষণ জাঁকিয়ে বসে শরীরে তা হল-

কোষ্ঠকাঠিন্য

ওজন বেড়ে যাওয়া

ডিপ্রেশন

কোনও সিদ্ধান্ত নিতে অধিক সময় লাগা

খিদে বেড়ে যাওয়া

এসব লক্ষণও একদিনে আসে না। ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।

এই থাইরয়েডের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল

হাইপোথাইরয়েডিজম স্বাস্থ্যের উপরও প্রচুর প্রভাব বিস্তার করে। কর্কশ কন্ঠস্বর, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ভ্রু পাতলা হয়ে যাওয়া, কারণ ছাড়াই শরীর ফুলে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। এই থাইরয়েডের চিকিত্‍সা সময়মতো শুরু না হলে হার্টের সমস্যা, রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া অর্থাত্‍ হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া দেখা যেতে পারে। সঙ্গে আরও নানা সমস্যা তো থাকেই।