লরির ডালা খুলতেই হতবাক সকলে থরে-থরে সাজানো 'কালো হিরে' তারপর

লরির ডালা খুলতেই হতবাক সকলে থরে-থরে সাজানো 'কালো হিরে' তারপর

 কয়লা পাচার ইস্যু রাজ্য রাজনীতির বর্তমান উষ্ণতম অধ্যায়। সিবিআই সক্রিয় এবিষয়ে একগুচ্ছ মামলার তদন্ত নিয়ে। অবাধ পাচারে তা কিছুটা রাশ টানলেও দাঁড়ি টানতে ব্যর্থ। বীরভূম-মুর্শিদাবাদ-পশ্চিম বর্ধমানের মত জেলাগুলিতে রাতের অন্ধকারে এখনও চোরাগোপ্তা পাচারের অভিযোগ আসে হামেশাই।

এরই অকাট্য প্রমাণ শুক্রবার গভীর রাতে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে টন টন কয়লাবোঝাই গাড়ির আটক হওয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম রুট কয়লা পাচারে অবাধ ব্যবহার হয় তা আগেই জানা ছিল। সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর আসে এই ঘটনার। পুলিশ তথ্য পায়, লরিতে পাচার করা হবে প্রায় ২৩ মেট্রিকটন কয়লা। সেই মতো অভিযান চালায় রামপুরহাট থানার পুলিশ। মুনসুবা মোড়ের কাছে সন্দেহজনক লরিটিকে আটক করা হয়। ডালা খুলতে দেখা যায় কয়লা বোঝায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল লরিটি।

বৈধ কাগজপত্র চাওয়া হলে চালক তা দেখাতে পারেনি। তখনই রামপুরহাট থানা লরি সমেত চালককে আটক করে। দেখা ২৩ মেট্রিকটন কয়লাই ছিল লরিটিতে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রবিন মাজি। প্রতিবেশী বিহার রাজ্যের জামতাড়া জেলার গুরাধি গ্রামের বাসিন্দা সে। শনিবার তাকে তোলা হচ্ছে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ এই পাচার চক্রের খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করবে।