সামাজিক মাধ্যমে পুলিশকর্তাদের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, ঘটনায় যোগ বিহার, উত্তরপ্রদেশের

সামাজিক মাধ্যমে পুলিশকর্তাদের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, ঘটনায় যোগ  বিহার, উত্তরপ্রদেশের

সময়বাংলা# রাজ্যে সাইবারক্রাইম বিভাগে ইতিমধ্যেই শোরগোল তুলেছে রাজ্যের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় পুলিশ অফিসারদের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেল উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে ওই অ্যাকাউন্ট গুলি চালানো হয়।

রাজ্যের যেসব শীর্ষ কর্তাদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট গুলো খোলা হয়েছে তারা হলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, মালদহের পুলিশ সুপার অলক রাজুরিয়া, এবং শিলিগুড়ি পূর্ব জোনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার স্বপন সরকার।এছাড়াও রয়েছে উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ বঙ্গের জেলা কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় পুলিশকর্তাদের নামে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট।এমনকি সেই অ্যাকাউন্টে পুলিশ কর্তাদের ছবিও ব্যবহার করা হত। এবং তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন জায়গায় ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হত।

এই প্রসঙ্গে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘হ্যাঁ, এই নয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়ে এক সূত্র আমায় খবর দিয়েছিলেন। আমি প্রোফাইলের স্ক্রিনশট পাঠাতে বলেছিলাম। কিন্তু আমরা কিছু করার আগেই প্রোফাইলটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা (ওই অ্যাকাউন্টের) ইউআরএল পেয়েছি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের খুঁজতে হবে। আমি খোলামেলা লোক এবং সংবাদপত্র-সহ সব জায়গায় আমার ছবি আছে। দুর্বত্তদের পাকড়াও করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে ওদের আমরা ধরবই।’এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।আবার মালদহের পুলিশ সুপারের কথায়, ‘ওই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। আমরা ওদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। সেই প্রতিক্রিয়া পেলেই আমরা তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।’

সিআইডি সাইবার ক্রাইম বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে জানানো হচ্ছে ওই অ্যাকাউন্টগুলি উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা এবং পাঞ্জাব থেকে চালানো হত আপাতত অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে।আইপিএস পদমর্যাদার এক আধিকারিকের কথায়, ‘আইপিএস অফিসার-সহ পরিচিত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যদি ভুয়ো তথ্য ছড়ানো যায়, তাহলে আমজনতা সেটির সত্যতা যাচাই করবেন না এবং দু'বার না ভেবেই ফরোয়ার্ড করে দেবেন।’

সাধারণ তদন্তে মনে করা হচ্ছে রাজ্যে সামনেই তো বিধানসভা ভোট তাই এই কাজগুলি করা হত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বিঘ্ন ঘটানো হয় সেই জন্যই করা হত এই কাজ।ওই আইপিএস অফিসার আরও বলেন, ‘এটার বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। তার জেরে আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও হতে পারে। যেহেতু আমরা আগামী বছর বিধানসভা ভোটের দিকে এগোচ্ছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সেজন্য এই বিষয়ে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তবে এখনও পর্যন্ত ভুয়ো অ্যাকাউন্ট যারা চালাচ্ছিলেন তাদের কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক এর আশা ওই প্রোফাইলগুলি পেছনে যারা আছে তারা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বেন।