আসছে উত্সবের মরশুম, সোনার গয়না কিনবেন বুঝি? সাবধান, এই ৫ বিষয় মাথায় না রাখলে ঠকে বাড়ি ফিরতে হবে!
নামকরা দোকান কি সুবিধে দেয়? সোনাটা খাঁটি দেয়, সঙ্গে দেয় সার্টিফিকেট। ওটা দেখিয়েই পরে সেই দোকান বা অন্য যো কোনও দোকানে দরকারে সোনার গয়না বিক্তি করলে উচিত দাম পাওয়া যাবে। না হলে গয়না হয় বাড়িতে পড়ে থাকবে, কোনও দোকানই কিনতে চাইবে না, নয় তো জলের দরে ছেড়ে দিতে হবে।
আগেকার দিনে সোনা খাঁটি কি না, তা যাচাই করতে কাজে দিক কষ্টিপাথর। এখন তার জায়গায় এসেছে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর সার্টিফিকেট আর হলমার্ক। সেই হলমার্কে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর স্ট্যাম্প থাকবে। থাকবে স্যাকরার পরিচিতি এবং হলমার্কের তারিখ। সেই সঙ্গে চোখ রাখতে হবে K অক্ষরে। K মানে ক্যারাট। ধরা যাক, গয়নার সোনা যদি ২২ ক্যারাট হয়, তবে তাতে সোনার ভাগ থাকবে ৯১.৬ শতাংশ, সেই মতো ৯১৬ লেখা থাকবে হলমার্কে।
কে না জানে, সোনার দাম রোজ ওঠা-পড়া করে! আবার ২২ ক্যারাটের তুলনায় ২৪ ক্যারাট সোনার দাম বেশি হয়। অতএব গয়নায় কত ক্যারাট সোনা আছে, তা জেনে তার সেই দিনের দাম একবার দেখে নিয়ে স্যাকরা সঠিক বলছে কি না মিলিয়ে নিলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়। ৪. মজুরি নিয়ে দরাদরি
সোনার দাম সরকারের বেঁধে দেওয়া, ওখানে স্যাকরা কারচুপি করতে পারবে না। করবে মজুরিতে। তা ৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে দরাদরি করে তা কমানোর সুবিধে থাকে, বুদ্ধিমানের মতো তাই দরদাম করাই উচিত। অনেক দোকান আবার বিশেষ বিশেষ সময়ে মজুরিতে ছাড় বা বিনা মজুরিতেই গয়না দেয়, সেই অফারের দিকেও চোখ রাখা যেতে পারে। ৫. পাথর বসানো গয়না
পাছর বসানো সোনার গয়না না কেনা-ই ভাল! পাথরে গয়নার ওজন বাড়ে, স্যাকরা সেই পুরো ওজন ধরে সোনার দাম বাড়িয়ে রাখতে পারে। এক্ষেত্রে পাথর খুলিয়ে তো আর সোনা মাপা যাবে না। ওদিকে পাথরও যে আসল, সেটাও বোঝা মুশকিল। শুধু তা-ই নয়, পাথর বসানো সোনার গয়না বিক্রি করলেও ন্যায্য দাম কিন্তু পাওয়া যায় না।