বাংলাদেশেই আগুন দাম, ভারতে কেন ইলিশ রফতানি? বন্ধ করতে আইনি নোটিস পেল হাসিনা সরকার

বাংলাদেশেই আগুন দাম, ভারতে কেন ইলিশ রফতানি? বন্ধ করতে আইনি নোটিস পেল হাসিনা সরকার

কয়েকদিন আগেই বাংলায় এসে পৌঁছেছিল বাংলাদেশের ইলিশ। পুজোর আগেই আরও ইলিশ এসে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু এ রাজ্যের ইলিশপ্রেমীদের জন্য হঠাত্‍ই দুঃসংবাদ। কারণ, ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সেদেশের এক আইনজীবী।

ওই নোটিসে অভিযোগ করা হয়েছে, চড়া দামের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ইলিশ কিনতে পারছেন না। অথচ দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

মাহমুদুল হাসান নামে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী এই নোটিস পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের বাণিজ্য, মত্‍স্য ও প্রাণিসম্পদ, পররাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রক এবং সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।

নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে সেই মাছের দামই আকাশছোঁয়া। দামের কারণেই দেশের নিম্নবিত্ত মানুষ ইলিশ কেনার কথা চিন্তা করতে পারছেন না। ইলিশের দাম দেশের মধ্যবিত্ত মানুষেরও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশে এখন সাধারণ ইলিশের দাম ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। আর পদ্মার ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা ছুঁয়েছে।

দেশের বাজারে ইলিশের দাম চড়া হওয়া সত্ত্বেও কেন সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিল, নোটিসে সেই প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে অনুমতি প্রত্যাহারের জন্য পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, এমনিতেই পদ্মা থেকে সীমিত সংখ্যক ইলিশ মেলে। সেই ইলিশ ভারতে চলে যাওয়ায় দেশের বাজারে জোগান আরও কমছে।

২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রফতানি নীতি অনুযায়ী ইলিশ মুক্তভাবে রফতানি যোগ্য নয়। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা ভেবে বিশেষ অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। ভারতীয়দের ইলিশের স্বাদ দেওয়ার জন্য দেশে ইলিশ উত্‍সব আয়োজনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে নোটিসে। নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানি বন্ধ না করলে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ওই আইনজীবী।