বন্যার জল নামতে সময় লাগতে পারে ছ'মাস জলবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে পাকিস্তানে পাশে দাঁড়াতে পৌঁছলেন অ্যাঞ্জেলিনা

বন্যার জল নামতে সময় লাগতে পারে ছ'মাস জলবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে পাকিস্তানে পাশে দাঁড়াতে পৌঁছলেন অ্যাঞ্জেলিনা

ন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে পৌঁছলেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

লস অ্যাঞ্জেলস থেকে সোজা পাকিস্তানের দাদুতে নামেন অ্যাঞ্জেলিনা। বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে যান।

ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি অ্যাঞ্জেলিনার পাকিস্তান সফরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তারা জানিয়েছে, বন্যী দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পাকিস্তানে অ্যাঞ্জেলিনা। বন্যায় পাকিস্তানের ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের এক তৃতীয়াংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। দুর্গতদের প্রয়োজন জানতে, সেই সমস্ত অভাব-অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছে দিতেই পাকিস্তানে অ্যাঞ্জেলিনা।

এর আগে, ২০১০ সালে বন্যার সময়ও পাকিস্তান যান অ্যাঞ্জেলিনা। ২০০৫ সালে ভূমিকম্পের পরও সেখানে ছুটে যান। জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক সঙ্কট এবং দুর্গতদের ভবিষ্যত্‍ সুনিশ্চিত করতেই এ বারও পাকিস্তানে অ্যাঞ্জেলিনা।

একটানা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার কবলে পাকিস্তান। এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫৫১, মহিলার সংখ্যা ৩১৮।

একই সঙ্গে বন্যার প্রকোপে রোগভোগও বেড়েছে সেখানে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, জায়রিয়া এবং ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। বন্যার জলবাহিত রোগে আরও ন'জন মারা গিয়েছেন।

সিন্ধ প্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। সেখানে পানীয় জলের জোগান সম্পূর্ণ বন্ধ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বন্যার জলেই খাওয়া-দাওয়া, রান্নাবান্না করছেন সেখানকার মানুষ।

চলতি বছরে দীর্ঘমেয়াদি বর্ষার জেরেই এমন সঙ্কট নেমে এসেছে পাকিস্তানে। চলতি সপ্তাহেই গড় হারের চেয়ে তিন গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে সেখানে।

পাকিস্তানে বন্যার প্রকোপে যে হারে জলবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে, তা করোনা পরবর্তী দ্বিতীয় বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বন্যার জল পুরোপুরি নামতে কমপক্ষে ছ'মাস সময় লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তত দিনে জলবাহিত রোগের প্রকোপ ঠেকিয়ে রাখা যাবে কি না, তা নিয়েও আতঙ্ক বাড়ছে। এই মুহূর্তে একটি অস্থায়ী শিবিরে ৭২ হাজার রোগীর চিকিত্‍সা চলছে। ১ জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী শিবিরগুলিতে রোগীর সংখ্যা ২৭ লক্ষ বলে জানা গিয়েছে।