প্রথমবার কলকাতায় ভূমি, বিয়ে করলেন সৃজিতা

প্রথমবার কলকাতায় ভূমি, বিয়ে করলেন সৃজিতা

লকাতা: প্রথমবার কলকাতায় এলেন অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকর (Bhumi Pednekar)। একটি বিজ্ঞাপনী শ্যুটে শহরে এসে কী কী করলেন তিনি? কেমন লাগল সিটি অফ জয়? সঙ্গী হল এবিপি লাইভ। অন্যদিকে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন বাঙালি অভিনেত্রী সৃজিতা দে (Srijita Dey)। যদিও বাংলার চেয়ে হিন্দি ধারাবাহিক ও টেলিভিশন শো-য়েই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।

'বিগ বস' (Big Boss) -এ অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। আর সেখানেই প্রথম জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পর্কের কথা। প্রায় চার বছরের সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রীর। আর আজ সেই প্রেম পরিণতি পেল বিবাহে। দিনভর বিনোদন দুনিয়ায় নজর কাড়ল কোন কোন খবর? দেখে নিন বিনোদনের সারাদিন

কলকাতায় ভূমি পেডনেকর

মেঘ-রোদের রবিবারে, স্টু়ডিওর গেট বন্ধ ছিল প্রথমটা। পরিচয় দিতে, এগিয়ে এসে গেট খুলে দিলেন এক নিরাপত্তারক্ষী। তারপরে নিজেই দেখিয়ে দিলেন কোথায় শ্যুটিং চলছে। একটু এগোতেই চোখে পড়ল সাদা ভ্যানিটি ভ্যান, ওপরে লেখা 'ভূমি'জ টিম'। দরজা ঠেলে উঁকি দিতে প্রথমটা খানিক অন্ধকার.. তারপরেই চোখে পড়ল সেট। আর সেখানেই, কাঁচা হলুদ রঙের সালোয়ার স্যুটে, ঝলমলে হাসিতে শট দিচ্ছেন তিনি। ভূমি পেডনেকর (Bhumi Pednekar)। বলিউড অভিনেত্রীর প্রথম কলকাতা সফর। কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন যশরাজ ফিল্মসের অ্যাসিসট্যান্ট কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে। সেখান থেকে তিনি এখন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। ভূমির জন্য কতটা কঠিন ছিল এই সফরটা? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি একটা সময় প্রচুর অডিশন নিয়েছি। কিন্তু যখন নিজে অডিশন দিতে গিয়েছিলাম, প্রচন্ড ঘেঁটে ফেলেছিলাম গোটা বিষয়টা। এত বছরে এটুকু বুঝেছি, যাঁরা নতুন ইন্ডাস্ট্রিতে আসছেন, সিনিয়রদের তাঁদের ওপর সহমর্মী হতে হবে আর কীভাবে তাঁরা ভাল কাজ করতে পারে, সেই প্রতিভাগুলোকে বেছে তুলে আনতে হবে। আরও একটা জিনিস আমি শিখেছি, সবসময় নতুন কিছু শেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। একমাত্র তবেই নিজের পারফরমেন্স আরও ভাল করা যেতে পারে। আমি মুম্বইতে বড় হয়ে উঠলেও, আমার পরিবারের বলিউডের সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না। বলা ভাল, আমি একটা রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছি। নিজের সফর নিয়ে আমার গর্ব হয়। অনেক কিছু শিখেছি এই গোটা সফরটায়।'

নিজের হাতে ধোসা তৈরি করে রিয়াকে দিতে গেলেন সোনু

সোনু সুদ (Sonu Sood) যেন সবসময়েই আলাদা। সাধারণ মানুষের পাশে সবসময় তাঁর দাঁড়ানোর চেষ্টা প্রবল। সম্প্রতি তিনি শ্যুটিং করছিলেন 'রোডিজ ১৯'-শো-টির। আর সেখানেই, হঠাত্‍ অন্য ভূমিকায় ধরা দিলেন অভিনেতা। হঠাত্‍ শ্যুটিং সেরে মজলেন, ধোসা আর ছোলে বটুরা বানানোয়। সবসময়েই সমাজে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের পাশে বিভিন্নভাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সোনু সুদ। আর রোডিজের শ্যুটিং করতে এসে, কালো পোশাকে হঠাত্‍ তিনি নেমে পড়লেন ধোসা বানানোর কাজে। নিপূণ হাতে ব্যাটার তাওয়ায় ছড়িয়ে হালকা সেঁকে নিলেন, তারপরে তাতে ভরে দিলেন তরকারির পুর। সেই ধোসা ভাঁজ করে তুলে দিলেন তাঁরই সহকর্মী রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)-র প্লেটে। শুধু এখানেই থামলেন না সোনু, নিজের হাতে ভেজে ফেললেন বটুরাও। কালো পোশাকে নিজের এই ভিডিও নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিয়েছেন সোনু। সঙ্গে লিখেছেন, কেউ যদি ধোসা বা ছোলে বটুরায় আগ্রহী হন, তাহলে যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সঙ্গে তিনি হ্যাশট্যাগ যোগ করে নিয়েছেন ছোট ব্যবসায়ীদের সমর্থন করার জন্যই তাঁর এই পদক্ষেপ।

বাঙালি এই অভিনেত্রী বিয়ে সারলেন জার্মানিতে!

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন বাঙালি অভিনেত্রী সৃজিতা দে (Srijita Dey)। যদিও বাংলার চেয়ে হিন্দি ধারাবাহিক ও টেলিভিশন শো-য়েই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। 'বিগ বস' (Big Boss) -এ অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। আর সেখানেই প্রথম জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পর্কের কথা। প্রায় চার বছরের সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রীর। আর আজ সেই প্রেম পরিণতি পেল বিবাহে। সৃজিতার প্রেমিক জার্মান, নাম মাইকেল ব্লোম পাপ। তাঁর সঙ্গেই জার্মানির একটি চার্চে বিয়ে সারলেন সৃজিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। সাদা অফ শোলডার গাউনে খ্রীস্টান রীতি মেনে সেজেছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী। মাথায় ছিল মাটি ছোঁয়া ভেল। বাঙালি অভিনেত্রী এদিন নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, 'আমরা একে অপরের হাতে হাত রেখে এক নতুন সফর শুরু করছি, যা সারজীবনের।' বিয়ে জার্মানিতে হলেও, শোনা যাচ্ছে আগামী ১৭ জুলাই মুম্বইয়ে রিসেপশনের আয়োজন করেছেন অভিনেত্রী ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধব ও সতীর্থদের জন্য। সেখানে অভিনেত্রীকে কী বেশে দেখা যাবে তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে অনুরাগীদের মধ্যে।

রাঘবের সঙ্গে স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে বাসন মাজলেন পরিণীতি

সামনেই কি বিয়ের দিন, রাঘব চড্ডা (Raghav Chadha) ও পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)-র? হবু পত্নীকে নিয়ে হঠাত্‍ই পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে হাজির হলেন আপ সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন ছবিও। আর সেখানেই, পাওয়া গেল এক অন্য রাঘব পরিণীতিকে। রাঘব খাঁটি পঞ্জাবি। আর কেবল স্বর্ণমন্দির কেন, যে কোনও গুরুদ্বারে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন প্রথা। প্রত্যেক গুরুদ্ধারেই থাকে একটি লঙ্গর। এই লঙ্গরে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয় পূর্ণার্থীদের। টাকার বিনিময়ে নয়, খালি হাতে মন্দির থেকে ফেরানো হয় না কাউকেই। দেওয়া হয় খাবার। আর এই রান্না করেন ভক্তরাই। কেবল রান্নাই নয়, পূর্ণার্থীদের এঁটো বাসনও পরিষ্কার করেন ভক্তরাই। লঙ্গরে সেবা করা পূণ্য অর্জন বলে বিশ্বাস করেন ভক্তরা। আর সেখানেই, পূর্ণার্থীদের এঁটো বাসন সকলের সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে মাজলেন পরিণীতি। পাশে ছিল রাঘবও। বলিউডি নায়িকার খোলস ভেঙে, সবার সঙ্গে মিশে গেলেন অভিনেত্রী। সাদা সালোয়ার কামিজ পরেছিলেন তিনি। মাথায় নিয়মমাফিক দিয়েছিলেন ওড়না। অন্যদিকে পাশে হবু স্বামী রাঘবও ছিলেন সাদা পাজামা পাঞ্জাবি ও ধূ সর জওহর কোটে। তাঁর মাথায় ছিল গেরুয়া আবরণ।