পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া চিকেন কষা! একবার বানাবেন, বাড়ির বাচ্চা-বুড়ো চেটেপুটে সাফ করে দেবে

পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া চিকেন কষা! একবার বানাবেন, বাড়ির বাচ্চা-বুড়ো চেটেপুটে সাফ করে দেবে

ফ্রিজে মজুত চিকেন। অফিস থেকে ফেরার পথে ভাবলেন আজ চিকেন কষা দিয়েই রাতের খাওয়া সারবেন। যা ইচ্ছে থেকে চাইলে অর্ডার করলে খুব সহজেই তা হাতের সামনে এসে যায়। তবে রোজ তা মোটেই ভাল লাগে না। বাইরের খাবার যদি প্রায়শই খান তাহলে পেটের সমস্যা অবধারিত। একই সঙ্গে পকেটও ভালই খসে। ফ্রিজে চিকেন থাকলেও সমস্যা হল মশলা তৈরি নেই।

অফিস থেকে ক্লান্ত শরীরে বাড়িতে ফিরে পেঁয়াজ, রসুন কেটে মোটেই মশলা বানাতে ইচ্ছে করে না। আর তাই এমন দিনে পেঁয়াজ-রসুন ছাড়াই বানিয়ে ফেলুন চিকেন কষা। হলফ করে বলা যায়, যদি আপনি বাড়ির বাকি সদস্যদের রেসিপি না জানান তাহলে তাঁরা ধরতেই পারবেন না যে নিরামিষ মাংস খাচ্ছেন।

সকলেরই ধারণা পেঁয়াজ, আদা, রসুন ছাড়া মাংস রান্না করা যায় না। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না মানেই তাতে একরকম আঁশটে গন্ধ থেকে যায়। মোটেই খেতে ভাল লাগে না। ব্যাপারটা মোটেই কিন্তু এমন নয়। পেঁয়াজ, রসুনে কষানো মশলা ছাড়া মাংসও কিন্তু দারুণ হয়। আর তাই চটপট শিখে নিন চিকেনের ফাঁকিবাজি রেসিপি।

উপকরণ

চিকেন- ৫০০ গ্রাম

আদা বাটা-২ চামচ

মৌরি বাটা- হাফ চামচ

জিরে গুঁড়ো- ২ চামচ

ধনে গুঁড়ো- হাফ চামচ

লঙ্কা গুঁড়ো- হাফ চামচ

টকদই

সরষের তেল

ঘি

পদ্ধতি

মাংস ধুয়ে নিয়ে তার মধ্যে নুন, আদা বাটা, মৌরি বাটা, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, টকদই, সরষের তেল, হলুদ আর সামান্য ভিনিগার দিয়ে মেখে ২ ঘন্টা রাখুন। সবথেকে ভাল যদি সারারাত ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। কড়াইতে তেল দিয়ে আলু ভেজে নিন। ওই তেলেই ১ চামচ ঘি, গরম মশলা, গোটা গোলমরিচ ফোড়ন দিয়ে মাংস দিন। কষে চল ছেড়ে এলে আলু মিশিয়ে দিন। প্রয়োজন হলে নুন, চিনি দিন। যে ১০০ গ্রাম দই দিয়ে মাংস মেখে রেখেছিলেন তা থেকেই যে জল ছাড়বে তাতেই মাংস সিদ্ধ হয়ে যাবে। একেবারে লো ফ্লেমে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। নামানোর আগে ঘি আর ভাজা জিরের গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে দিন। যেহেতু এই মাংসে কোনও পেঁয়াজ, রসুন পড়ে না তাই আদার পরিমাণ বেশি লাগে। গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে দারুণ লাগে এই মাংস। প্রয়োজনে ধনেপাতা কুচিও ছড়িয়ে দিতে পারেন।