দরিদ্র দর্জি থেকে হঠাত্ কোটিপতি পকেটে টিকিট নিয়ে সোজা থানায় যুবক
পেশায দর্জি। কাপড় সেলাইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই মনে মনে স্বপ্নও বুনতেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মন্দিরবাজারের যুবক লোকনাথ মণ্ডল। আর সেই স্বপ্নপূরণের আশাতেই বার বার কাটতেন লটারির টিকিট। আশা ছিল, একদিন না একদিন ঠিক ভাগ্য সহায় হবে।
কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়ে যে একবারে হতদরিদ্র থেকে তিনি কোটিপতি হয়ে যাবেন, তা ভাবতেও পারেননি বছর তিরিশের ওই যুবক। কিন্তু ভাগ্যের ভান্ডারে কী চমক থাকে, তা আগে থেকে জানা যায় না। তাই লটারির টিকিট কাটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক কোটি টাকার খবর পেয়ে লোকনাথ ভেবেই উঠতে পারছিলেন না, সেই টাকা নিয়ে তিনি কী করবেন!
মন্দিরবাজারের মুল্লে এলাকার বাসিন্দা লোকনাথের ভাগ্য শুক্রবার রাতে এ ভাবেই ফিরে গেল। দিনপ্রতি মাত্র কয়েকশো টাকার মজুরিতে কাজ করা লোকনাথের বাড়িতে স্ত্রী, ছোট মেয়ে ছাড়াও রয়েছেন বাবা-মা। সামান্য আয়ে টেনেটুনে চলত সংসার। দিন বদলের আশাতেই নিয়ম করে লটরির টিকিট কাটতেন ওই যুবক।
সেই অভ্যাস মতোই শুক্রবার মুল্লের মোড়ের দোকান থেকে একটি লটারির টিকিট কাটেন লোকনাথ। রাত আটটা নাগাদ খেলার ফলাফল জানতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। লোকনাথ দেখেন, তাঁর কেনা টিকিটের নম্বরেই বেঁধেছে এক কোটি টাকা।
অবিশ্বাস্য এই সুসংবাদ পেয়ে লোকনাথ নিজেও খানিক হতভম্ব হয়ে যান। সম্বিত্ ফিরতেই অবশ্য আতঙ্ক গ্রাস করে তাঁকে। পকেটে লটারির টিকিট নিয়ে পড়িমড়ি করে মন্দিরবাজার থানায় ছোটেন তিনি। পুলিশকে সবকিছু খুলে বলে নিরাপত্তা চান লোকনাথ। শেষ পর্যন্ত থানাতেই জমা দেন লটারির টিকিট। তার পর পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে রাতে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
এক কোটি টাকা যে জিতবেন, তা কল্পনা করতে পারেননি। তাই টাকা দিয়ে কী করবেন, সেটাও ঠিক মতো ভেবে উঠতে পারেননি লোকনাথ। থানার বাইরে দাঁড়িয়ে শুধু বললেন, 'টাকা দিয়ে আগে বাড়ি ঘর করব!'