ট্রেনের মধ্যে কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেফতার পাঁচ, মূল অভিযুক্ত পলাতক

ট্রেনের মধ্যে কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেফতার পাঁচ, মূল অভিযুক্ত পলাতক

 গণধর্ষণের শিকার ১৭ বছরের কিশোরী। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হল সুমন (২১), নাইম (২৫), নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০) ও রোমান প্রকাশ কালু (২২)। মূল অভিযুক্ত ইমরান পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশ বিশেষ দল গঠন করেছে।

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। ঢাকা রেলওয়ে কমলাপুর থানার উপপরিদর্শক রিয়াজ মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বাড়ি নেত্রকোনায়। বাবা-মায়ের কোনও কিছু নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। গতকাল ওই কিশোরী হাওর এক্সপ্রেসে উঠে রাতে কমলাপুর স্টেশনে নামে। প্ল্যাটফর্মে ইমরানের (যে এখনও পলাতক) সঙ্গে তার কথা হয়। ইমরানের থেকে জল চাইলে ইমরান ওই কিশোরীকে জল খাওয়ান। পরামর্শ দেয় প্ল্যাটফর্মের একটি বেঞ্চে তাঁকে শুয়ে থাকার পরামর্শ দেয়। সেই সঙ্গে সে কিশোরীকে বলে, কেউ তার কাছে কিছু জানতে চাইলে বা শুয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁর (ইমরান) নাম জানালেই হবে। ইমরানের কথা বিশ্বাস করে ওই কিশোরী প্রথমে প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চে শুয়ে ছিল।

রাত তখন গভীর। ইমরান ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে আসে। পরামর্শ দেয় এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের তুরাগ কমিউনিটি লোকাল ট্রেনের বগিতে শুয়ে থাকতে। কিছু না ভেবে কিশোরী ট্রেনে উঠল ট্রেনের একপাশের দরজা আটকে দেয়। ট্রেনের অন্য দরজা দিয়ে ওঠে বাকিরা। তারা একে একে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। রাতে স্টেশনে এক নিরাপত্তাকর্মীকে টহল দিতে দেখলে তারা পালায়। কোনও কারণে নিরাপত্তাকর্মীর সন্দেহ হওয়ায় তিনি জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন ভিতরে পড়ে রয়েছে এক কিশোরী। নিরাপত্তাকর্মী পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় ওই পাঁচজনকে।