লকারে থরে থরে সাজানো সোনা-রুপোর বাট ব্যবসায়ীর অফিস থেকে উদ্ধার ৯১ কেজি সোনা ৩৪০ কেজি রুপো

লকারে থরে থরে সাজানো সোনা-রুপোর বাট ব্যবসায়ীর অফিস থেকে উদ্ধার ৯১ কেজি সোনা ৩৪০ কেজি রুপো

কারে থরে থরে সাজানো সোনা-রুপোর বাট। দু'টি লকার এবং এক ব্যবসায়ীর অফিস থেকে সাড়ে ৯১ কেজির সোনা এবং ৩৪০ কেজি রুপো উদ্ধার করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার তল্লাশিতে নামে ইডি। বুধবার পর্যন্ত তল্লাশিতে এই বিপুল পরিমাণ সোনা এবং রুপো বাজেয়াপ্ত করেছে তারা।

যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। ঘটনাটি মুম্বইয়ের জাভেরি বাজারের।

ইডি সূত্রে খবর, জাভেরি বাজারে ৭৬১টি লকার ভাড়া দেওয়া হয়। তার মধ্যে তিনটিতে তল্লাশি চালায় ইডি। যেগুলি একটি সংস্থার। যে সংস্থার বিরুদ্ধে আগে থেকে ২,৭০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। জাভেরিতে গয়নার বাজারে বহু লকার ভাড়া দেওয়া হয়, যার কোনও নথি নেই। তাই এই তদন্তে আয়কর বিভাগকেও জুড়েছে ইডি।

জাভেরি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এক সদস্য দাবি করেন, হিসাব-বহির্ভূত এই বিপুল পরিমাণ সোনা-রুপো কোনও ব্যবসায়ীর নয়। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

যে সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে, সেই সংস্থার চারটি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তার মধ্যে জাভেরি বাজারে ওই সংস্থার দু'টি লকারে তল্লাশি চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ সোনা-রুপো উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থাটি।

পারেখ অ্যালুমিনেক্স নামে ওই সংস্থাটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের বাক্স তৈরি করে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে সিবিআই। দু'টি ব্যাঙ্ক থেকে ৩৯০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মুম্বই পুলিশের ইকনমিক অফেন্সেস উইংস (ইওডব্লিউ)-ও আলাদা ভাবে দু'টি এফআইআর দায়ের করেছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে।