শরীরের অর্ধেক ভিতরে বাকিটা বাইরে লিফটে চলতে শুরু করায় বীভত্‍স মৃত্যু মুম্বইয়ের শিক্ষিকা জেনিলা ফার্নান্ডেজের

শরীরের অর্ধেক ভিতরে  বাকিটা বাইরে লিফটে চলতে শুরু করায় বীভত্‍স মৃত্যু মুম্বইয়ের শিক্ষিকা জেনিলা ফার্নান্ডেজের

হারাষ্ট্রের সেন্ট মেরি স্কুলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লিফটের গোলযোগে প্রাণ গেল তরুণীর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের মালাডে। জানা গেছে, নিহত শিক্ষিকার বয়স ছিল প্রায় ২৬ বছর। ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন নিহত জিনেল ফার্নান্ডেজ।

শুক্রবার মালাডের সেন্ট মেরি প্রাথমিক স্কুলের লিফটেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে তাঁর।

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রায় রোজকার মতোই নিজের ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর স্কুলের সাত তলা (সিক্সথ ফ্লোর) থেকে দোতলার (থার্ড ফ্লোর) স্টাফ রুমে যাওয়ার জন্য লিফটে উঠতে যাচ্ছিলেন জিনেল। লিফট ৭ তলায় উঠে আসার পর ভেতরে একটা পা দিলেও, তাঁর শরীর পুরোপুরি ভেতরে ঢোকার আগেই সেটি হঠাত্‍ চলতে শুরু করে দেয়। পা বের করে নিতে না পেরে ওই অবস্থাতেই আটকে পড়েন শিক্ষিকা।

চলন্ত লিফটের সঙ্গে প্রায় ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে প্রাণপণে চিত্‍কার শুরু করে দেন তিনি। তাঁর আওয়াজে ছুটে আসেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা, স্কুলের কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীরা। দেওয়াল আর লিফটের মধ্যিখানে আটকা পড়ে তাঁর শরীর প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়, প্রবল রক্তপাত হতে থাকে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ওই প্রাথমিক স্কুলে পৌঁছে যায় একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং মালাড থানার পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় লাইফলাইন মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শিক্ষিকা জিনেল ফার্নান্ডেজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।

মালাড থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর রবীন্দ্র আদানে জানিয়েছেন, "তিনি যখন লিফটে উঠেছিলেন এবং সেটিতে একটি পা রেখেছিলেন, তখন লিফটটি তাঁকে সাত তলার দিকে টেনে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।"

জানা গেছে, কিছুদিন আগেই জিনেল ফার্নান্ডেজ নামের ওই তরুণী এই বেসরকারি স্কুলটিতে সহযোগী শিক্ষিকার পদে যোগ দিয়েছিলেন। ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিশুদের স্কুলটিতে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার রিপোর্ট দায়ের করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। লিফটে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। "সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে লিফ্ট রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত নথি, সবকিছু পরীক্ষা করার পরেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেব", জানিয়েছেন সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর রবীন্দ্র আদানে।