ডুরান্ড ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মুম্বইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু

ডুরান্ড ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মুম্বইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু

ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পেলেন ফুটবলপ্রেমীরা। ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে খেলেছে দুই দল।

শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচের ফয়সালা হল। মুম্বইকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ জিতে নিল বেঙ্গালুরু এফসি।

এগারো মিনিটের মাথায় অসাধারণ শটে গোল করে বেঙ্গালুরু এফসিকে (Bengaluru FC) এগিয়ে দেন শিবাশক্তি। মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বল পায়ে নিয়ে দু'জন ডিফেন্ডারকে কাটান এই তরুণ। তারপরেই গোলকিপারের মাথার উপর থেকে বাঁক খেয়ে গোলপোস্টে ঢুকে যায় বল। কিছু ক্ষণ পরেই রোশনের একটি শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার।

গোল খাওয়ার পরে কিছুটা সময় একেবারে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে মুম্বই। তবে ধাক্কা সামলে ফিরে আসে তারা। তিরিশ মিনিটেই সমতা ফেরায় মুম্বই। স্টুয়ার্টের শট প্রথমে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন গোলকিপার। ফিরতি বলে ফের জোরাল শট মেরে বলটি জালে জড়িয়ে দেন আপুইয়া। প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি ফ্রি-কিক পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি বেঙ্গালুরু এফসি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে বেঙ্গালুরু এফসি। মুম্বই (Mumbai City FC) ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়ে বারবার গোল লক্ষ্য করে শট নেন বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা। ৬১ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর পাস থেকে গোল করেন অ্যালান কোস্তা। তারপর থেকেই মুম্বই আক্রমণের ঝাঁঝ একেবারেই কমে যায়। ম্যাচে আর ফিরে আসতে পারেনি মুম্বই। উলটে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। সুনীল ছেত্রীর একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে।

ম্যাচে বল পজেশন অনেক বেশি থাকলেও তার ফায়দা তুলতে পারেনি মুম্বই। তবে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ফিরে এসেছিল মুম্বই, সেই ঝাঁঝ দ্বিতীয়ার্ধে খুঁজে পাওয়া যায়নি। নব্বই মিনিটের পরে শেষ হাসি হাসল বেঙ্গালুরুই। বেশ ভাল খেললেও গোল অধরাই রইল সুনীল ছেত্রীর।

  • এগারো মিনিটের মাথায় অসাধারণ শটে গোল করে বেঙ্গালুরু এফসিকে এগিয়ে দেন শিবাশক্তি।
  • তিরিশ মিনিটেই সমতা ফেরায় মুম্বই।
  • ম্যাচে বল পজেশন অনেক বেশি থাকলেও তার ফায়দা তুলতে পারেনি মুম্বই।