ল্যাপটপ স্লো হয়ে গিয়েছে? সহজ উপায়ে এই মুশকিল আসান করা সম্ভব, খরচও হবে না টাকাও

ল্যাপটপ স্লো হয়ে গিয়েছে? সহজ উপায়ে এই মুশকিল আসান করা সম্ভব, খরচও হবে না টাকাও

কোভিডের জেরে অফিসের কাজ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের ক্লাস- এই সব কিছুই আজকাল অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। ফলে একটা ল্যাপটপ থাকলেই সব কিছু সহজ হয়ে যায়। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলেও বহু অফিসই ওয়ার্ক ফ্রম হোম বহাল রেখেছে। অনেকে তো ওয়ার্ক ফ্রম হোমকেই দারুন কাজে লাগাচ্ছেন।

ব্যাগপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন পাহাড় অথবা সমুদ্রের উদ্দেশ্যে। আর সেখান থেকেই দিব্যি অফিসের কাজ অথবা স্কুল-কলেজের ক্লাস সেরে নিচ্ছেন। আসলে ল্যাপটপ থাকায় এটা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে। তবে ল্যাপটপ যদি স্লো হয়ে যায়, তা-হলে! বিষয়টা অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো! তাই না!

আসলে ল্যাপটপ স্লো হয়ে গেলে কাজে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- কাজ করতে অসুবিধা তো হবেই, কাজে দেরিও হয়ে যাবে। এমনকী অফিসে কোনও জরুরি মিটিংয়ে যোগ দিতেও সমস্যা হতে পারে। আর সাধারণত Windows Laptop-এ স্লো হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। আর কাজের মাঝে ল্যাপটপ স্লো হয়ে গেলে বিড়ম্বনার অন্ত থাকে না। সেই সময় তো আর নতুন ল্যাপটপ কেনা সম্ভব হয় না। নতুন ল্যাপটপ কেনা তো মুখের কথা নয়। অনেক কিছু দেখে বুঝেই তা কেনা উচিত। সেই সঙ্গে একটা বড়সড় খরচের ধাক্কাও তো থাকে। তবে আমাদের কাছে একটা উপায় আছে, যার মাধ্যমে আমরা স্লো হয়ে যাওয়া ল্যাপটপের স্পিড বাড়াতে পারি। তার জন্য কোনও টাকাও খরচ করতে হবে না। তা-হলে দেখে নেওয়া যাক, সেই উপায়।

ল্যাপটপ যেন আপ-টু-ডেট থাকে:

মাইক্রোসফট-এর পরামর্শ, ল্যাপটপ সব সময় আপ-টু-ডেট রাখা উচিত। অর্থাত্‍ ল্যাপটপে যেন সব সময় লেটেস্ট ভার্সন থাকে। তাই কখন আপডেট আসছে, সে-দিকে সব সময় নজর রাখতে হবে। এতে ল্যাপটপের পারফরমেন্স তো ভাল হবেই, সেই সঙ্গে আরও নানা সুবিধা পাওয়া যাবে।

অব্যবহৃত প্রোগ্রাম এবং অ্যাপ আন-ইনস্টল:

ধরা যাক, কয়েক মাস আগে কোনও ব্যবহারকারী নিজের ল্যাপটপে কিছু অ্যাপ ইনস্টল কিংবা কোনও কিছু ডাউনলোড করেছিলেন। কিন্তু সেগুলো তিনি ব্যবহার করছেন না। অব্যবহৃত ওই অ্যাপগুলি আনইনস্টল করে দিতে হবে। এই ভাবে ব্যবহার না-করা জিনিস ডিলিট অথবা আন-ইনস্টল করা উচিত।

ল্যাপটপ রিস্টার্ট করতে হবে:

ল্যাপটপ রিস্টার্ট করা হলে Temporary Cache Memory মুছে যায়। যার ফলে ল্যাপটপ আবার দারুন ভাবে কাজ করতে শুরু করে। এ-ছাড়াও ল্যাপটপে একাধিক ব্রাউজার ট্যাব খোলা থাকলেও তা কিছুটা স্লো হয়ে যায়। এ-ক্ষেত্রে ল্যাপটপ আবার চালু করতে হবে। তার পর যে প্রোগ্রাম এবং অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীর প্রয়োজন, সেগুলোই শুধু খোলা রাখতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় স্টার্ট-আপ অ্যাপগুলিকে Disable করতে হবে:

ল্যাপটপ অন করার সময় কি স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিভিন্ন অ্যাপ খুলে যায়। এইগুলো আসলে Start-up Apps। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অজান্তেই তৈরি হয়ে যায়। আর এটাও ল্যাপটপের পারফরমেন্সে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। মাইক্রোসফট-এর পরামর্শ, এই ধরনের প্রোগ্রাম Disable করে দিতে পারেন ব্যবহারকারী। এর জন্য স্টার্ট বাটন বেছে নিতে হবে। এর পর Settings > Apps > Startup সিলেক্ট করতে হবে। এ-বার যে প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু হয়ে যাচ্ছে, সেটি অফ করে দিতে হবে।

ল্যাপটপে ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার থাকতে পারে:

ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার ল্যাপটপের পারফরমেন্সের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কাজের সময় অপ্রত্যাশিত পপ-আপ মেসেজ কিংবা স্বয়ংক্রিয় ভাবে আচমকা কোনও প্রোগ্রাম চালু হয়ে যাওয়াও এর অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। আর এই সমস্যার সবথেকে সহজ সমাধান হল ল্যাপটপে একটা অ্যান্টিভাইরাস অথবা অ্যান্টিম্যালওয়্যার ইনস্টল করে নেওয়া।