কুকুরে অ্যালার্জি সত্যেও পোষ্যকে সরায়নি স্বামী মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ

কুকুরে অ্যালার্জি সত্যেও পোষ্যকে সরায়নি স্বামী মেয়েকে নিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ

স্বামী পোষ্য কুকুরকে একরকম জোর করেই বাড়িতে রেখে দিয়েছিল। অভিমানে আত্মঘাতী (Suicide) হল মা ও বছর ১৩-র মেয়ে। বছর ৩৬-এর গৃহবধূর কুকুরে অ্যালার্জি আছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা জানা সত্ত্বেও পোষ্য কুকুরকে বাড়ি থেকে সরায়নি।

অনেক অনুরোধ উপরোধে কাজ না হওয়ায় নিজেই চূড়ান্ত পরিণতি বেছে নিলেন।

মৃত গৃহবধূর নাম দিব্যা আর। তিনি গৃহবধূ আর মেয়ে রুদিয়া এস ষষ্ঠশ্রেণীর পড়ুয়া। পূর্ব বেঙ্গালুরুর বানাসওয়াদি এলাকায় গত সোমবার নিজের বাড়িতেই মেয়েকে নিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন দিব্যা আর।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মৃতের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। দিব্যার স্বামী শ্রীনিবাসকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। আদালত তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাবা রামন এমকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

২০০৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। দিব্যা শ্বাষকষ্ট ও ত্বকের অ্যালার্জিতে ভুগছিলেন। শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগে চিকিত্‍সক তাঁকে কুকুর থেকে দূরে থাকতে বলেন। তাতে সুস্থতার সম্ভাবনা আছে। বিষয়টি শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীকে জানিয়ে পোষ্য কুকুরকে বাড়ি থেকে সরানোর অনুরোধ করেছিলেন দিব্যা। নিজেদের আত্মহননের কথা বলতেও তাঁরা কুকুর সরাতে রাজি হননি। এর পরেই মেয়েকে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ।