দিনে কত প্লেট বিক্রি হয় ব্যারাকপুরের দাদা বৌদির বিরিয়ানি? জানলে চমকে যাবেন

দিনে কত প্লেট বিক্রি হয় ব্যারাকপুরের দাদা বৌদির বিরিয়ানি? জানলে চমকে যাবেন

বর্তমানে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের এমনকি বিদেশেরও খাদ্য রসিক মানুষের কাছে পরিচিত নাম দাদা বৌদির বিরিয়ানি। তাই ক্রমেই বেড়ে চলেছে দাদা বৌদির বিরিয়ানির ভক্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া রাজ্যের বাইরে অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই বিরিয়ানির দোকানের গুণকীর্তন।

বর্তমানে, বিক্রি এতটাই বেড়েছে যে ছোট্ট দাদা বৌদির হোটেল এখন ব্র্যান্ড হয়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার নানা প্রান্তে এই দাদা বৌদির বিরিয়ানির কাউন্টার খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। দোকানে সব সময় লেগে রয়েছে ভিড়। বিরিয়ানি কিনে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে লাইন দিয়ে তা কিনতে হয়। আর যদি বসে খেতে চান তবে তারও ব্যবস্থা রয়েছে।

দাদা বৌদি-র বর্তমান মালিক সঞ্জীব সাহা জানান, প্রতিদিন চিকেন ও মাটন বিরিয়ানি মিলে প্রায় ১৫০০ প্লেটেরও বেশি বিরিয়ানি বিক্রি হয়। সম্প্রতি ব্যারাকপুরের দাদা বৌদি হোটেলের পাশেই শাখা খুলেছে আর্সালান এর বিরিয়ানি। তবে প্লেট বিক্রির সংখ্যায় দাদা-বৌদি কার্যত গোল দিয়েছে ব্যারাকপুরের আরসালানকে!

দাদা বৌদিতে বিরিয়ানির দাম প্লেট প্রতি মাটনের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা ও চিকেনের ক্ষেত্রে ২১০ টাকা। সামনেই পুজো, কদিন যে বাড়তি ভিড়ের চাপ থাকবে দোকানে তা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিচ্ছেন দোকানের কর্মচারীরা। ব্যারাকপুর স্টেশনে নেমে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই সোজা দেখিয়ে দেবে দাদা বৌদির বিরিয়ানির দোকান। সবচেয়ে পুরোনো বা মূল শাখাটি রয়েছে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন রোডেই। সঞ্জীব সাহা জানান, দাদা-বৌদি এই হোটেলটিই সবচেয়ে পুরোনো। সেটিকে নতুন করে আরো উন্নত মানের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। মানুষকে পরিষেবা দিতে, গ্রাহকদের যাতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয় সেই কথা মাথায় রেখেই সেজে উঠছে ব্যারাকপুরের দাদা বৌদির বিরিয়ানি।