পাঁচ কোটি টাকায় চালকল কিনলেন কী ভাবে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়ে কী উত্তর দিলেন কেষ্ট -কন্যা?

পাঁচ কোটি টাকায় চালকল কিনলেন কী ভাবে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়ে কী উত্তর দিলেন কেষ্ট -কন্যা?

ম্পত্তির উত্‍স নিয়ে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না'-এ দিয়েছেন কেষ্ট-কন্যা। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সিবিআই সূত্রে। 'ভোলে বোম রাইসমিল' সংক্রান্ত নথি নিয়ে শুক্রবার সুকন্যাকে প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

শনিবার ওই নথি চেয়ে তাঁকে আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছে।

সিবিআইয়ের দাবি, বোলপুরের 'ভোলে বোম রাইসমিল'টি কেনা হয়েছিল পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চালকলের ডিরেক্টর সুকন্যা এবং কেষ্ট 'ঘনিষ্ঠ' হিসাবে পরিচিত বিদ্যুত্‍বরণ গায়েন। চালকল কেনার টাকা কোথা থেকে এল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। সুকন্যা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর কাছে ওই চালকল কেনার টাকা কী ভাবে এল, তা-ও জানতে চায় সিবিআই। সে কারণেই শুক্রবার সুকন্যাকে প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না'-এ দিয়েছেন সুকন্যা। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে সুকন্যা জানিয়েছেন, সব কিছু জানেন অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। কেষ্ট-কন্যার কাছে 'ভোলে বোম রাইসমিল'টির সমস্ত নথিও চান সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার এ নিয়ে সুকন্যাকে আইনি নোটিসও পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রতর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সুকন্যার বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, গত ১৭ অগস্ট সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় সুকন্যা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর মানসিক অবস্থা ভাল নয়। এ বার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সমস্ত রকম আইনি প্রক্রিয়া আগেভাগে সেরে নিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর তাঁর একাধিক সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। বীরভূম এলাকায় একাধিক চালকলে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেই চালকলগুলির মধ্যে অন্যতম 'ভোলে বোম রাইস মিল'। ওই চালকলের প্রাক্তন মালিক শ্যামল মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল অস্থায়ী ক্যাম্পে। তাঁকেও শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শান্তিনিকেতনে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে যান মণীশ।