'I Kiss You' ছাত্রীকে মেসেজ পাঠিয়ে বিক্ষোভের মুখে প্রধান শিক্ষক

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে করিমপুর পলাশীপাড়ায় পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভও দেখান। তাঁদের স্পষ্ট দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষক যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটান তাহলে তাঁরা তাঁদের বাড়ির পড়ুয়াদের কার ভরসায় স্কুলে পাঠাবেন? এই প্রশ্ন তুলেই তিনি প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। খবর যায় পুলিশে। পলাশীপাড়া থানার পুলিশ ওই স্কুলে এলেও তাদের সামনেও তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতিবাদীরা। এমনকী অভিযুক্ত শিক্ষককে গাড়ি তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথেও বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, গাড়িতে নয় হাঁটিয়ে নিয়ে যেতে হবে অভিযুক্ত শিক্ষককে। শেষ পর্যন্ত জনতার চাপে পড়ে ওই শিক্ষককে হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মাঝি বলেন, "আমাদের স্কুলে এক পড়ুয়ার সঙ্গে স্যারের একটা খারাপ-ভাল যাইহোক একটা সম্পর্ক আছে। মোবাইলে চ্যাটও করে। মেসেজে আই কিস ইউ লিখেছেন। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে একটা ভাল সম্পর্ক থাকা উচিত। কিন্তু সেটা আমরা দেখতে পেলাম না। আমরা হাতেনাতে স্যারের অশ্লীল ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছি। আমরা স্যারের পদত্যাগ চাই। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। আজ একটা মেয়ের হয়েছে। পরে আরও অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে হতে পারে। তাই আমরা চাই স্যার নিজে নিজে আজ থেকে চলে যান।"