ব্রেকফাস্টে এই ৫ খাবার রাখলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কমবে ওজনও! আপনিও রাখছেন তো?

ব্রেকফাস্টে এই ৫ খাবার রাখলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কমবে ওজনও! আপনিও রাখছেন তো?

ব্রেকফাস্ট যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কী খাচ্ছেন সেই ব্রেকফাস্টে। কী রাখেন আপনার ব্রেকফাস্ট মেন্যুতে। কারণ রোজকার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি আসে এই ব্রেকফাস্ট থেকেই। এই ব্রেকফাস্টে যদি অস্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়া হয় কাহলে সারাদিন নষ্ট।

অ্যাসিডিটি, গ্যাস, অস্বস্তি শরীরে লেগেই থাকে। অনেকেই খাবেন সকালে খিদের মুখে যা হোক কিছু খেয়ে নিলেই হল। কেই খান পুরি-সবজি, সময় বাঁচাতে কেউ কেউ আবার রোজ জ্যাম-ব্রেডও খেয়ে ফেলেন। আবার কেউ বিশ্বাসী ইনস্যান্ট নুডলসে। এতে পেট ভরে ঠিকই কিন্তু শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। সঙ্গে গ্যাস, অম্বল, অ্যাসিডিটির মত সমস্যা লেগেই থাকে। আর তাই পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা দিয়েছেন বিশেষ এই পরামর্শ। তাঁর কথায়, দিনের শুরু হোক স্বাস্থ্যকর চর্বিতে। আগেকার দিনে বড়রা সব সময় সকালে উঠেই ভেজানো বাদাম খেতে দিতেন। এই অভ্যাস খুবই স্বাস্থ্যকর। সকালে উঠে একমুঠো ভেজানো আমন্ড আর বাদাম খেলে তার একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।

*এই ফ্যাট আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বাদামের মধ্যে কোনও কার্বোহাইড্রেট নেই। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়ে না। সেই সঙ্গে আমন্ড, আখরোটের মত বাদাম সহজেই ইনসুলিন প্রতিরোধ করতে পারে।

*ওজন কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে এই হেলদি ফ্যাট। বাদামের মধ্যে যে ফ্যাট থাকে তা আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়। যে কারণে খিদে কম পায়। পাশাপাশি ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

*হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে বাদাম। ফলে পুষ্টির শোষণ সহজ হয়। অন্ত্র ভাল থাকে। হজমে কোনও রকম অসুবিধে হয় না।

*সকালে একমুঠো বাদাম খেলে মন ভাল থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশেও সাহায্য করে এই বাদাম। বাদাম শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মোকাবিলাতেও সহায়তা করে বাদাম।

*সকালে উঠে চায়ের সঙ্গে গাদা গাদা বিস্কুটের পরিবর্তে একমুঠো করে খান এই বাদাম। এতে শরীর ভাল থাকবে, হজম ভাল হবে। সব দিক থেকেই উপকার পাবেন।

হেলদি ফ্যাটের তালিকায় যা কিছু রয়েছে

ভেজানো বাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম, আমন্ড, নারকেল তেল এবং ঘি। তবে এই সব ফ্যাট কিন্তু মেপে খেতে হবে। কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়। অতিরিক্ত ফ্যাট খেলে সেখান থেকে তখন অন্য সমস্যা আসবে। কাজুবাদাম দিনের মধ্যে ২ টোর বেশি খাবেন না। ঘি শরীরের জন্য খুবই ভাল। কিন্তু এই ঘি-ও মেপে খান।