খোলা রাস্তায় পুড়ছে আদিবাসীর মৃতদেহ

খোলা রাস্তায় পুড়ছে আদিবাসীর মৃতদেহ

সম্য বাংলা, সুরাট# শ্মশানে দাহ করার জন্য দিতে হবে ২৫০০ টাকা। কিন্তু সেই টাকা দেওয়ার  সামর্থ্য নেই, তাই রাস্তার পাশের সৎকার করল আদিবাসী পরিবার। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরাতের এনা জেলায়। পেশায় শ্রমিক মৃত ওই ব্যক্তির নাম মোহন রাঠোর (৪৫) ।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘ রোগভোগের পর মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান মোহন, এরপর তাঁর পরিবার সৎকারের জন্য শ্মশানে দেহ নিয়ে যায় । কিন্তু সেখানে তাঁদের জানানো হয়, দাহ করার জন্য আগে ২৫০০ টাকা দিতে হবে।  তারপরেই ভিতরে যেতে পারবে পরিবার। কিন্তু মোহন রাঠোরের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। তাই তাঁদের পক্ষে ২৫০০ টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই দেহ সৎকার হয়নি শ্মশানে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মোহনের পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার শ্মশান কর্তৃপক্ষকে টাকা ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরিবারকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, টাকা না দিলে সৎকার করা যাবে না। এর পরেই পরিবার দেহ শ্মশান থেকে বার করে নিয়ে যান।

প্রতিবেশী অর্জুন রাঠোর TOI-কে জানিয়েছেন, মোহনের পরিবার অত্যন্ত গরিব। তাঁদের পক্ষে ২৫০০ টাকা দিয়ে সৎকার করা সম্ভব হয়নি। আর টাকা ছাড়া শ্মশান কর্তৃপক্ষ দেহ সৎকারে রাজি হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই অসহায় পরিবার তাঁদের সম্প্রদায়ের (হালপাতি) সকলকে পাশে থাকার অনুরোধ করে। সেই মতোই সকলে মিলে কাঠ জোগাড় করে এবং উপায় না পেয়ে রাস্তার পাশেই শেষ পর্যন্ত সৎকার সম্পন্ন হয়।  জানা গিয়েছে, মোহনের দেহ সৎকারের জন্য স্থানীয় প্রায় সব বাড়ি থেকেই কাঠ দেওয়া হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ভরত রাঠোর বলেন, "আগে সৎকারের জন্য ১২০০ টাকা লাগত। হঠাৎ করেই সেই চার্জ বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করা হয়েছে। যা দেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। ফলে বহু মানুষ আর শ্মশানে দেহ সৎকারের জন্য যাচ্ছেন না। বাইরেই করা হচ্ছে শেষকৃত্য।" ভরতের অভিযোগ, টাকা বাড়ানোর বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি।