চিনা সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা কি সত্যি? বিমান চলাচলের হালহকিকত থেকে মিলল ইঙ্গিত

চিনা সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা কি সত্যি? বিমান চলাচলের হালহকিকত থেকে মিলল ইঙ্গিত

কয়েকদিন আগেই চিনে সেনা অভ্যুত্থানের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ডিং হতে শুরু করেছিল। একের পর এক টুইটার পোস্টে দাবি করা হয়েছিল চিনা প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি শি জিংপিংকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। এমনকী তাঁকে পিপলস লিবারেশন আর্মি সর্বাধিনায়কের পদে থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি ঘিরেও চর্চা শুরু হয়েছিল।

সকলেই জানেন, চিন থেকে সহজে খবর বাইরে আসে না, কিন্তু প্রায় ৯ হাজার বিমান বাতিলের কথা সামনে আসার পর বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছিলেন সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি সত্যি হলেও হতে পারে।

কিন্তু বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট FlightRadar24 জানিয়েছে, চিনা আকাশে উড়ন্ত বিমানের সংখ্যা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যে, অজানা কারণে চিনে একের পর এক বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি বিমানকে চিনা আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২১ সেপ্টেম্বর প্রায় ৯ হাজার ৫৮৩টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল। বিমানের সংখ্যা হঠাত্‍ করে কমে যাওয়া সেনা অভ্যুত্থানের তত্ত্ব আরও বেশি জোরাল হচ্ছিল। যদিও সরকারিভাবে সেকথা অস্বীকার করেছিল বেজিং। বিমান চলাচল স্বাভাবিক হতেই অনেক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সেনা অভ্যুত্থানের সম্ভাবনাকে খারিজ করে দিয়েছেন।

বিভিন্ন প্রকাশিত রিপোর্ট ও পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, বেজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৬২২ টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল। সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬৫২টি, শেনজেন বাওন বিমানবন্দরে ৫৪২টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল। গুইয়াং লংডংবাও বিমানবন্দের বিমান বাতিলের হার ছিল প্রায় ৯৯ শতাংশ, যা গোটা দেশে সর্বাধিক। বিমান বাতিল নিয়ে চিনা সরকারি ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানানো হয়নি। তবে সেদেশের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বেশ কিছু প্রদেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।